তরমুজের পর এবার গরুর মাংস বয়কটের ডাক

কক্সবাজার প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২ এপ্রিল, ২০২৪ at ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ

রোজার শুরুতেই আকাশচুম্বি হয় তরমুজের দাম। এতে সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে পড়ে ক্রেতারা। ওই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরমুজ বয়কটের আওয়াজ উঠে। রোজার এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টিও হয়। এতে শীতল আবহাওয়ায় তরমুজের অনুভব উঠে যায়। রোজা দশটার পর মাথায় হাত দেয় অসাধু তরমুজ ব্যবসায়ীরা। কক্সবাজারে তরমুজের পর সামাজাকি যোগাযোগ মাধ্যমে এবার গরুর মাংস বয়কটের ডাক উঠে। এ নিয়ে অ্যাক্টিভ দেখা যায় অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের। অনেকেই এই ডাকে সাড়া দিতে দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে বিপাকে পড়েছে গরু ব্যবসায়ীরা। ওসমাণ গণি নামে এক ব্যক্তি তার ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘তরমুজের মতো গরুর মাংসও আপনারা বয়কট করুন। তবেই অসাধু ব্যবসায়ীদের উচিত শিক্ষা হবে।’ নজরুল ইসলাম নামে আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেন, খামারিরাই মূলত সিন্ডিকেট করে দেশে গরু আমদানি বন্ধ করেছে। তাই তারা ইচ্ছেমতো ক্রেতাদের গলা কাটছে। গরুর মাংস কিছুদিন বয়কট করলে তাদের দৈন্যদশা সৃষ্টি হবে।’ নাজিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তার ফেসবুকে পোস্ট করেন, ‘গরুর মাংস খাওয়া ফরজ না। এক সপ্তাহ বয়কট করুন, দাম এমনিতেই কমে আসবে। সিন্ডিকেটমুক্ত করতে বয়কটের বিকল্প নেই।’

কক্সবাজারের হাড়সহ গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করে দেন জেলা প্রশাসন। কিন্তু সেই নির্দেশ মানছেনা ব্যবসায়ীরা। বাজারে প্রতি কেজি হাড়সহ গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা। আর হাড়বিহীন মাংস কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। রোজার শুরুতেই জেলা প্রশাসন বাজার তদারকি করলেও ৪/৫ দিন পর তা ঝিমিয়ে পড়েছে। এই সুযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘বাজার তদারকি জেলাজুড়ে বিদ্যামান আছে। ব্যবসায়ীরা নির্দেশনা না মানলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধবায়েজিদে রাস্তা ও ফুটপাত দখল, ৬ জনকে জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধওয়াজেদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আলোচনা সভা