বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে সিরিজের ম্যাচ সরাসরি সমপ্রচারিত হবে বিটিভিতে। এই সিরিজের আয়োজনে যে আগ্রহ প্রকাশ করেনি আর কোনো টিভি চ্যানেল! বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের অবশ্য দাবি, সামগ্রিক পারিপার্শ্বিকতার প্রভাব পড়েছে ক্রিকেট সমপ্রচারেও। দেশের মাঠে বাংলাদেশের সিরিজগুলো গত কয়েক বছর ধরে সমপ্রচার করে আসছে টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি। এছাড়া নাগরিক টিভি ও মাছরাঙা চ্যানেলও নানা সময়ে খেলা সমপ্রচার করেছে। বাংলাদেশে ক্রিকেট উন্মাদনা যে পর্যায়ের, তাতে কোনো সিরিজ দেখাতে চ্যানেলগুলোর আগ্রহ থাকবে না, কিছুদিন আগেও এটা ছিল অভাবনীয়। কিন্তু এবার সেটিই সত্যি হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে সিরিজের সমপ্রচার নিয়ে চলতে থাকে অনিশ্চয়তা। অবশেষে স্বস্তি হয়ে আসে বিটিভির সহায়তা। বিটিভির মূল চ্যানেলের পাশাপাশি বিটিভি নিউজের মাধ্যমে ৪৯টি দেশে দেখা যাবে এই সিরিজের খেলা। খেলা দেখা যাবে বিটিভি অ্যাপেও। ক্রিকেট অনুসারীদের জন্য এটা স্বস্তির খবর। তবে প্রশ্নগুলোও থেমে থাকছে না। দেশে ক্রিকেটের বাজার পড়তির দিকে কি না, বিসিবির বিপণন বিভাগের ব্যর্থতা কতটা, দেশের ক্রিকেটের সামগ্রিক মান ও পরিস্থিতির ভূমিকা আছে কি না, নানা প্রশ্নই উঠছে। বনানীতে শনিবার একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন অন্য কথা। ‘এটা আসলে একটু গোড়া থেকে বলতে হবে। আপনারা জানেন, এখন সময়টা খুবই মানে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া, সব জায়গায় মন্দা চলছে। আইসিসির গ্লোবাল ইভেন্ট যারা করে, জিওস্টার, তারাও কিন্তু কী বলব আমি এটা তো স্পন্সর সম্পর্কিত, সেজন্য একটু সময় খারাপ যাচ্ছে। পটপরিবর্তনের পর স্বাধীন দেশে সময় একটু সময় লাগছে।’ বিটিভি খেলা দেখাতে রাজি হওয়ায় কৃতজ্ঞতার শেষ নেই ফারুক আহমেদের। ‘আমাদের বিটিভি খেলা দেখাচ্ছে, অনেক ধন্যবাদ তাদের। বিটিভির স্লট পাওয়া খুব কঠিন। বিশেষ ধন্যবাদ সচিব মহোদয়কে, উনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল বোর্ড থেকে। আপনি জানেন, বিটিভির স্লট কিনতে হয়, এয়ার টাইম তারা আমাদের এটি দেখিয়ে দেবে বিনামূল্যে। অন্তত মানুষের কাছে খেলাটা পৌঁছাবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যভাবে দেখি আর কী।’ সিলেট টেস্ট না হলেও চট্টগ্রামে পরের টেস্টের খেলা অন্য চ্যানেলে দেখানোর আশা এখনও ছাড়ছেন না বিসিবি সভাপতি। ‘এখনও কথা বলছে, অন্য কোনো টিভি যদি আমরা পাই, দেব। যদিও সময় নেই যদি এই ম্যাচ আমরা দেখাতে নাও পারি, পরের ম্যাচ চেষ্টা করব। এছাড়াও আগামী আড়াই বছরের জন্য মিডিয়া রাইটস বিক্রি করার ব্যাপার আছে। ওটার জন্য টেন্ডার ডকুমেন্টস তৈরি করেছি আমরা। চেষ্টা করব আন্তর্জাতিক মানের কিছু আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।’
আরেকটি অস্বস্তিকর ব্যাপারও সমপ্রতি ঘটে গেছে বিসিবির জন্য। তিনটি অভিযোগ নিয়ে ক্রিকেট বোর্ডে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বিসিবি সভাপতি তখন আইসিসির সভায় অংশ নেওয়ার জন্য ছিলেন দেশের বাইরে। ফেরার পর বোর্ডের পক্ষ থেকে সবটুকু সহায়তার আশ্বাস তিনি দিলেন। ‘দুদক এসেছিল, নিশ্চয়ই তার সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযাগে এসেছিল। বোর্ড থেকে এটা সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে, যেসব কাগজ তারা চেয়েছেন। এর মধ্যেই কাজ শুরু করেছে আমাদের প্রধান নির্বাহী। তাকে আমি বলেছি যে, তারা যেসব জিনিস জিজ্ঞাসা দিয়ে গেছে, সেসব যেন মেটানো হয়। এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ যথাযথভাবে বলা যাবে না, উনারা অনুসন্ধান কতটা সময়ই বলে দেবে, কতটা অনুসন্ধান হবে।’