তবু অনেক কিছুর উন্নতি দেখতে চান লিটন

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ২৬ জুলাই, ২০২৫ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করা হলোনা বাংলাদেশের। তারপরও প্রথমবারের মত সিরিজ জয়টা অনেক বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ দল। গত বৃহস্পতিবার রাতে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ শেষে তাই তেমন কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হলোনা বাংলাদেশ দল অধিনায়ক লিটন দাশকে। শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারলেও সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। ঘাটতির চেয়ে তাই প্রাপ্তির পাল্লাই ভারি। সিরিজ জয় ধরা দিল টানা দুই সিরিজে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সামপ্রতিক বাস্তবতায় যা বড় ব্যাপার। সব মিলিয়ে কঠিন প্রশ্নের প্রেক্ষাপট খুব একটা ছিল না। তারপরও কিছু ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন হলোই। অধিনায়ক নিজেও শোনালেন কিছু জায়গায় উন্নতির তাগিদ। বিশ্বকাপের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে যেখানে দলকে আরও শাণিত দেখতে চান তিনি। সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে বোলিং পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। তবে শেষ ম্যাচে পাকিস্তান তোলে ২০ ওভারে ১৭৮ রান। এই সিরিজে দুই দল মিলিয়েই যা সর্বোচ্চ। উদ্বোধনী জুটিতেই ৮২ তুলে ফেলে তারা। আগের ম্যাচগুলোর তুলনায় বোলিং ততটা ধারাল ছিল না। পরে রান তাড়ায় ব্যাটিং তো হয়েছে যাচ্ছেতাই। লিটনের অবশ্য বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে খুব একটা আপত্তি নেই। তিনি আঙুল তুললেন ব্যাটিংয়ের দিকে।

এটা খুবই ভালো উইকেট ছিল। যে দুটি ম্যাচ আমরা আগে খেলেছি সেগুলোর চেয়ে অনেক ভালো উইকেট ছিল। ব্যাটিং বান্ধব উইকেট ছিল। আমরা বোলিং ইনিংসে অনেক ভালো বোলিং করেছি। অধিনায়ক হিসেবে আমি মনে করি ১৮০ রান তাড়া করা উচিত ছিল আমাদের। পাওয়ার প্লেতেই আমরা ম্যাচটা অনেকটা হেরে গেছি। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আজকে হিসেবি ব্যাটিং করতে পারিনি আমরা। এই সিরিজ সব মিলিয়ে খারাপ যায়নি। যে উইকেট আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে নিজের খেলা। আমরা চেষ্টা করেছি সেরা ক্রিকেট খেলার। আমার মনে হয় আমরা ভালোই দুটি ম্যাচ খেলেছি। আজকের ম্যাচ ছাড়া। আজকে ব্যাটিং আমরা ভালো করিনি। গোটা সিরিজে সব মিলিয়ে বোলিং ভালো করেছি।

শ্রীলঙ্কায় তিন সংস্করণের সিরিজের দীর্ঘ সফরের পর দেশে ফিরেই এই সিরিজটি খেলতে হয়েছে লিটনদের। আগামী মাসে হওয়ার কথা ছিল ভারতের বিপক্ষে সিরিজ। তবে সেটি পিছিয়ে গেছে আগামী বছরে। আপাতত তাই বেশ কিছুদিন বিরতি জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই বিরতিতে চনমনে হয়ে আবার মাঠে ফিরে কিছু জায়গা নিয়ে কাজ করতে চান লিটন। এমনিতে সফল হলেও কিছু কিছু জায়গা তো থাকবেই উন্নতির জন্য। দল হিসেবে আমরাও জানি আমাদের কোথায় ঘাটতি আছে। আমাদের এই সিরিজের পর কোনো খেলা নেই অনেক দিন। আমাদের একটা বিরতি আছে। টানা ৪০ দিন ধরে টানা খেলছি আমরা। কিছুদিন বিরতির পর আবার আমরা ফিটনেসের ওপর মনোযোগ দেব এবং যে সুযোগ আমাদের সামনে আসবে, যদি আমরা ক্যাম্প করি বা কোনো সিরিজ যদি হয়, ওটাকে আমরা আবার ম্যাচে রূপান্তর করার চেষ্টা করব। উন্নতির জায়গাগুলোর মধ্যে লিটন নিজে থেকেই তুললেন ডেথ ওভারের বোলিংয়ের দিকটি। ব্যাটিং নিয়ে দুর্ভাবনা তো আছেই। তবে আগামী ফেব্রুয়ারিমার্চে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের আগে শেষের ওভারগুলোয় বোলারদের আরও পোক্ত দেখতে চান অধিনায়ক।

গত কিছুদিন ধরে আমরা নতুন বলে খুবই ভালো বোলিং করছি। তবে বোলিং ইউনিট হিসেবে ডেথ বোলিং আরেকটু শক্তিশালী করতে হবে। এটা আমার ধারণা ও গোটা দলও এরকমই মনে করি। অবশ্যই ব্যাটিং তো আছেই উন্নতির জন্য। ভালো ব্যাটিং উইকেটে যখন টানা খেলবেন, ভালো ব্যাটিং করবেন, বোলারদের ম্যাচ জেতানোর সুযোগটা বেশি থাকবে। আমরা সবাই জানি মুস্তাফিজ ডেথ বোলিংয়ে কতটা বিধ্বংসী হতে পারে। তবে আরও যারা আছে, এখনও সময় আছে, এখান থেকে যদি বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ব্যাপারটিতে উন্নতি করতে পারি, আমার মনে হয় আমাদের দল আরও ভালো করবে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে, বাংলাদেশের পরের অভিযান আগামী সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ টিটোয়েন্টি। পরের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অক্টোবরে। দেশের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টিটোয়েন্টি সিরিজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজিম্বাবুয়েতে অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজ আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশের যুবারা
পরবর্তী নিবন্ধবেশি কথা বলেন তটিনী!