ক্রিকেটে অধিনায়ককে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হয় কিন্তু বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়াতো দূরে থাক নিজেকেই যেন খুঁজে ফিরছেন। মোমিনুল হক সবশেষ ১০ ইনিংসে সাতবার যেতে পারেননি দুই অংকের ঘরে। হাফ সেঞ্চুরি কেবল একটি। ওই একবারই ছাড়াতে পেরেছিলেন ত্রিশের ঘর। নিজের ওপর চাপ অনুভব করা অস্বাভাবিক নয়। তবে মোমিনুল হক বললেন, নিজের ফর্ম নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২২০ রানে হেরে যাওয়া ডারবান টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২ রান করার পর মোমিনুল দ্বিতীয় ইনিংসে খুলতে পারেননি রানের খাতা। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান গত বছর শেষ দিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে দেশের মাটিতে সিরিজের চার ইনিংসেই ছিলেন ব্যর্থ। খেলেছিলেন ৬, ০, ১ ও ৭ রানের ইনিংস। আর এ বছরের শুরুতে রানে ফেরার আভাস দিয়ে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৮ রানের ইনিংস খেলে। পরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দিয়ে অপরাজিত থাকেন ১৩ রানে। দ্বিতীয় টেস্টে শূন্য রানের পর করেন ৩৭ রান। ডারবানে প্রথম ইনিংসের শূন্য দিয়ে স্পর্শ করেন অনাকাঙ্খিত রেকর্ড। বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি পাঁচবার শূন্যতে বিদায়ের রেকর্ডে বসেন মোহাম্মদ আশরাফুলের পাশে। টানা তিন সিরিজে তিনটি শূন্য। এমন রান খরায় একটু কি চিন্তার ভাঁজ পড়ছে মোমিনুলের কপালে। তিনি বলেন নিজের ফর্ম নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন না। কোনোভাবেই আমার মনে হচ্ছে না, আমি খারাপ কোনো অবস্থায় আছি। কোনোভাবেই আমি উদ্বিগ্ন না। একটা ভালো ইনিংস খেললে আমার মনে হয় আমি আমার ট্র্যাকে চলে আসব। ব্যাট হাতে রান না পাওয়ার চেয়েও অধিনায়ককে বেশি পোড়াচ্ছে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে না পারা। দুই ইনিংসেই দ্রুত বিদায়ে নিজেকেই কাঠগড়ায় তুললেন মোমিনুল। তিনি বলেন আমার মনে হয়, আমার দায়টা অনেক বেশি ছিল। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বটা অনেক বেশি ছিল। যেটা আমি নিতে পারিনি দুই ইনিংসেই। প্রথম ইনিংসেও পারিনি, দ্বিতীয় ইনিংসেও পারিনি। আমার কাছে মনে হয়, দায়টা পুরোপুরি আমারই ছিল। দলকে আমি সেভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারিনি। অধিনায়ক হিসেবে দুই ইনিংসেই আমার দলকে আরও ভালোভাবে লিড দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে হয়তো ম্যাচের চিত্রটা অন্যরকম হতে পারত।