সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের পর ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের ঘাস সম্পূর্ণ তুলে ফেলে নতুন করে লাগানোর পরিকল্পনা ছিল বাফুফের। কারণ হিসেবে জানানো হয় এই স্টেডিয়ামে লাগানো হয়েছে বারোজাতের ঘাস। যা ফুটবলের জন্য মোটেও যুতসই নয়। তাই আগামী অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে পুরো ঘাস তুলে নতুন করে লাগানোর কথা বলেছিলেন বাফুফের টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস। গতকাল রোববার টুর্নামেন্ট কমিটির সভায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। সভা শেষে কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস বলেছেন আমরা সভায় বসেছিলাম ভুটান ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুই ম্যাচে কি ভুলত্রুটি হয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতে। আমরা স্টেডিয়ামও পরিদর্শন করেছি। দুই ম্যাচে যে সমস্যাগুলো দেখেছি সেগুলো কিভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্টেডিয়ামের হসপিটালিটি বঙে নতুন এসি লাগানোর কথা থাকলেও রেখে দেওয়া হয়েছে পুরাতনগুলো। আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে জানতে চাইবো তারা কিভাবে এগুলো বুঝে নিয়েছিল। পুরনো এসি সরিয়ে নতুন এসি লাগানোর কথা বলবো তাদের।
বলেছিলেন সিঙ্গাপুরের ম্যাচের পর স্টেডিয়ামের মাঠের পুরো ঘাস তুলে ফেলবেন। এখন বলছেন সেটা করছেন না। তেমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম গাউস বলেছেন যারা মাঠ সংস্কার করবে তারা জানিয়েছে এই ঘাস পরিবর্তণ করতে চার থেকে সাড়ে চার মাস লাগবে। আমাদের ম্যাচ আছে অক্টোবরে। সময় এদিক–সেদিক হলে সমস্যা হবে। তাই পুরো ঘাস তোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। এখন মাঠের যে জায়গায় বেশি সমস্যা আছে সেখানকার ঘাস তুলে নতুন ঘাস লাগানো হবে। একেবারে পুরো মাঠ জুড়ে পরিবর্তন করা হবে না। স্টেডিয়ামের গ্যালারির চেয়ার, দর্শক ওঠার সিঁড়িসহ আরো কিছু ত্রুটি ধরা পড়েছে বাফুফের চোখে। সেগুলো হংকং ম্যাচের আগেই ঠিক করার উদ্যোগ নেবে তারা। মাঠ টুকটাক সংস্কার করলে হংকং ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবে বাফুফে যে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে চায় তা কোথায় হবে ? এ বিষয়ে গোলাম গাউস বলেন তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রীতি ম্যাচের প্রতিপক্ষ ঠিক হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা ইউরোপের কোনো দেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে চাই। আমাদের সভাপতি এ নিয়ে কাজ করছেন। যখন প্রতিপক্ষ ঠিক হবে তখন আমরা সে হিসেবে সিদ্ধান্ত নেব। স্টেডিয়ামের বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে। আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাথে বসে সেগুলো আপাতত সারার চেষ্টা করব।