ঢাকায় ছুরিকাঘাতে তরুণীকে হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সোমবার রাতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের ‘অন্ধকার’ একটি জায়গায় নিয়ে তরুণীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। নিহত তরুণীর নাম শ্যামলী খাতুন (২৮)। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. সুজন (৪০)। ছুরি মেরে পালানোর সময় রেলওয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে ধরে ফেলে। অন্ধকারের মধ্যে ছুরিকাঘাত করার দৃশ্যটি একটি সিসি ক্যামেরায় ধরাও পড়ে। খবর বিডিনিউজের।
ঢাকা রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলছেন, সোমবার রাত পৌনে ১১টা থেকে ১১টার মধ্যে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জিজ্ঞাসাবাদে সুজন বলেছেন, শ্যামলীর সঙ্গে তার দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু শ্যামলী বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় তিনি ক্ষোভ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। আনোয়ার হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি সুজন নিজের বাসা থেকে টি–শার্ট দিয়ে পেঁচিয়ে শপিং ব্যাগের ভেতরে কমলাপুরে নিয়ে আসেন। এরপর শ্যামলীকে বেড়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে কমলাপুর স্টেশনের পাশে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যান। এরপর রেললাইনের ওপর ফেলে ছুরি মেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার সুজন পোশাকের ব্রান্ড ‘অঞ্জনস’ এর একটি শো রুমে কাজ করেন। আর নিহত শ্যামলী আগে ‘স্বপ্ন’ সুপার শপে কাজ করতেন; কয়েক মাস ধরে তিনি কিছু করছিলেন না। সুজনের স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে। আর শ্যামলী স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এক সন্তান নিয়ে থাকছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।