বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে যোগ হলো আরো একজন প্রবাসী ফুটবলার। কানাডা প্রবাসী সামিত সোম বেশ কিছুদিন ধরে দেশের পক্ষে খেলার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। বিশেষ করে ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা চৌধুরী দেশের হয়ে খেলার পর বাকি সব প্রবাসী ফুটবলারদের মাঝে দেশের হয়ে খেলার তাড়না সৃষ্টি হয়। এবার সে তালিকায় যোগ হলেন সামিত সোম। প্রথমে ফাহামিদুল ইসলাম এবং তারপর হামজা চৌধুরী এরই মধ্যে দেশে এসে অনুশীলন শুরু করেছে। ইতালি ও ইংল্যান্ড প্রবাসী এই দুই ফুটবলার অনুশীলন করছেন ভুটান ও সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য। ফাহামিদুল প্রথম দিন থেকেই এবং হামজা তৃতীয় সেশন থেকে অনুশীলন করছেন। এখন অপেক্ষা কানাডা প্রবাসী শামিত সোমের। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ বুধবার ভোর পাঁচটায় ঢাকায় পা রাখবেন শামিত। আর সন্ধ্যায় ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও ভুটানের ম্যাচ দেখবেন তিনি। এরপর সিঙ্গাপুরের ম্যাচের অনুশীলন শুরু হলে তাতে যোগ দেবেন। আজ বুধবার সকালে ক্যাম্পে যোগ দিয়ে নতুন ৩ প্রবাসীর বৃত্তপূরণ করবেন শামিত। তিনি হবেন বাংলাদেশ দলের প্রথম ফুটবলার, যিনি অন্য দেশের জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কানাডা জাতীয় দলের জার্সিতে ৩ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা শামিত এখন শুধুই বাংলাদেশের। হামজা, শামিত ও ফাহামিদুলসহ ৬ প্রবাসী ফুটবলার আছেন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের প্রাথমিক দলে। অন্য ৩ জন হচ্ছেন ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া, ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজী ও কানাডা প্রবাসী সৈয়দ কাজেম কিরমানী। এছাড়াও আরো একাধিক প্রবাসী ফুটবলার দেশের হয়ে খেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কিউবা অনেকদুর এগিয়ে গেছেন। তিনি পাসপোর্টের জন্য আবেদনও করেছেন।
এছাড়া ইংল্যান্ড সহ আরো একাধিক দেশের প্রবাসী ফুটবলার রয়েছে যারা বাংলাদেশের পক্ষে খেলতে আগ্রহী। বিশেষ করে হামজা চৌধুরী যোগ দেওয়ার পর বাংলাদেশের ফুটবলের ক্রেজ বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকগুণ। এই যেমন বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুরের মধ্যকার এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের ম্যাচটির টিকেটের জন্য রীতিমত হাহাকার চলছে। এরই মদ্যে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। কাজেই প্রবাসী ফুটবলাররা বাংলাদেশের ফুটবলের ক্রেজ বৃদ্ধি করেছে সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। এখন দেশের ফুটবলারদের পাশাপাশি প্রবাসী ফুটবলারদের হাত ধরে বাংলাদেশের ফুটবল কতদুর এগিয়ে যায় সেটাই দেখার বিষয়। ধারণা করা হচ্ছে প্রবাসী ফুটবলাররা যোগ দেওয়ায় দেশের ফুটবলারদের সাথে দলের ভেতর দারুন একটি প্রতিযোগিতা চলবে ভাল খেলার যা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য ভাল দিক হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
