ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ঐতিহাসিক অবদান রাখা সত্ত্বেও এই বৃহৎ প্রতিবেশী দেশটি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের কাছে তেমন সুপ্রিয় বলা যাবে না। এর পেছনে জনমনে প্রোথিত সাম্প্রদায়িকতা এবং বিএনপি-জামায়াতের পাকিস্তান-প্রেমী রাজনীতি যেমনি অবদান রাখছে তেমনি ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান টানাপড়েনও এজন্য অনেকখানি দায়ী। বাংলাদেশের জনগণের বৃহদংশ বিশ্বাস করে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ ন্যায্য স্বার্থ ভারতের স্বার্থান্ধ শাসক মহলের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কাছে আটকে রয়েছে। ওগুলোর সমাধান করতে ভারত গররাজি। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার চুক্তিটি এগার বছর আটকে থাকা, প্রস্তাবিত তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটির বিরোধিতা, সীমান্তে অব্যাহত বাংলাদেশী হত্যা, সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তি চুক্তি মানতে ভারতের অস্বীকৃতি, ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মরুকরণ, জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির মত ক্ষতিকর প্রভাব, ভারতে অভিবাসী কথিত অবৈধ বাংলাদেশীদেরকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কর্তৃক ‘উইপোকা’ অভিহিত করা, বিজেপি নেতাদের বেলাগাম বাংলাদেশ-বিদ্বেষী বাক্যবাণ, ভারতের ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনশীপ (এনআরসি) আইন এবং সিটিজেনশীপ এমেন্ডমেন্ট এক্টে (সিএএ) মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক নীতিগ্রহণ ইত্যাদি কারণ তো রয়েছেই। এর সাথে ২০১৪ সাল থেকে যুক্ত হয়েছে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি’র কট্টর হিন্দুত্ববাদী মুসলিম-বিদ্বেষী অপরাজনীতির তীব্র প্রতিক্রিয়া। বিজেপি’র আদর্শিক গুরু আরএসএস এর গেরুয়া-বস্ত্রধারী লাঠি-সজ্জিত গুন্ডাবাহিনী এখন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিসহকারে মিছিল করে ভারতের যত্রতত্র মুসলিমদেরকে লাঠিপেটা করার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে মেতে উঠেছে। ভারতের মোদী সরকার এই বেআইনী মিছিলগুলোকে সরাসরি উৎসাহিত করছে।
সম্প্রতি ভারতের কর্ণাটকে একজন মুসলিম কলেজ-শিক্ষার্থী তরুণী বোরখা ও হিজাব পরিধানের কারণে বিজেপি’র গেরুয়াধারী আক্রমণ-উদ্যত সমর্থকদের সামনে পড়ে নাকাল হয়েছে। ঐ চেলা-চামুন্ডাদের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিসহকারে অশ্রাব্য গালিগালাজে অতিষ্ঠ হয়ে উক্ত তরুণীর উপর্যুপরি ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিতে সোচ্চার প্রতিবাদের ভিডিওটি শুধু ভারতে নয় সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভিডিওতে কয়েকজন শিক্ষকের হস্তক্ষেপে উক্ত তরুণী ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে সরে যেতে পারার দৃশ্যটি দেখা গেলেও এই ঘটনাটি ভারতের সাম্প্রতিককালের ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক বিভাজন ও সংঘাতকে বিশ্বের সামনে নগ্নভাবে উন্মোচিত করে দিয়েছে। ‘হিজাব আমার অধিকার’ ব্যানার নিয়ে ভারতের নানা স্থানে মুসলিম নারী ও তাদের সমর্থকরা মিছিল করে চলেছেন। তাঁদের সমর্থনে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও মিছিল-মিটিং অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খোদ মার্কিন প্রশাসন এই ইস্যুতে তাদের রাজনৈতিক মিত্র ভারতকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে হিজাব পরিধানের অধিকার মুসলিম নারীদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। (ভারত সরকার অবশ্য তুড়ি মেরে মার্কিন প্রতিবাদকে উড়িয়ে দিয়েছে)। ভারতের খ্যাতিমান কয়েকজন ব্যক্তিত্ব হিজাব পরিধান করা/না করার ব্যক্তিগত অধিকারকে সমর্থন জানিয়ে প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেছেন। ধর্মকে অন্ধভাবে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহার একটি সমাজকে কতখানি গোমরাহির অন্ধকারে নিমজ্জিত করতে পারে তারই প্রত্যক্ষ উদাহরণ হয়ে উঠেছে ভারত।
২০১৪ সালে ‘গুজরাট দাঙ্গার মহারথী’ বিজেপি’র নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তাঁর উগ্র মুসলিম-বিরোধী অপরাজনীতির ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় জনগণ ক্রমেই সাম্প্রদায়িকতার মহাগহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে। এখন হয়তো অনেকেই ভুলে গেছেন যে ২০০২ সালে ভারতের গোধারা নামক স্থানে একটি ট্রেনের যাত্রীরা দুর্ঘটনাজনিত অগ্নিকান্ড কিংবা কথিত অগ্নি-সন্ত্রাসের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর বিনা-তদন্তে ঐ ঘটনার জন্য গুজরাটের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুসলিম সম্প্রদায়কে সরাসরি দায়ী করে টেলিভিশন-ক্যামেরার সামনে চরম উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছিলেন। ঐ উসকানির সাথে সাথে গুজরাটে মুসলিম-বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়ে গিয়েছিল, যে দাঙ্গায় আনুমানিক দুই হাজার মুসলিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল। টেলিভিশনের ক্যামেরার সামনে মোদী চোখ রাঙিয়ে বলেছিলেন,‘এই আক্রমণের জন্য তাদেরকে চরম মূল্য দিতেই হবে’। এভাবে একজন মুখ্যমন্ত্রী দাঙ্গা উসকে দেওয়ায় কংগ্রেস আমলে মোদীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হলেও ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের বিজেপি-নিয়োজিত বিচারপতিদের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্বপূর্ণ রায়ে মোদীকে অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছিল। বিষ্ময়কর হলেও সত্য যে প্রধানত ঐ উসকানিদাতার ভূমিকার জন্যই ভারতীয় রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদী একজন সর্ব-ভারতীয় রাজনৈতিক নেতার আসনে অধিষ্ঠিত হয়ে যান এবং বিজেপি’র অন্যান্য নেতাকে পেছনে ফেলে ঐ দলের প্রধান নেতার আসনে উঠে এসে কট্টর হিন্দুত্ববাদকে বিজেপি’র রাজনীতির মূল আদর্শে পরিণত করে লোকসভার নির্বাচনে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন জোটকে হারিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদটি দখল করে নেন। ভারতের সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ যে কত ঠুনকো সেটা বিজেপি’র এহেন নাটকীয় উত্থান চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। বলতে গেলে ২০০২ সালের ঐ দাঙ্গার পর থেকে গত দুই দশক ধরে ভারতীয় রাজনীতি মোদী এবং বিজেপি’র হিন্দুত্ববাদের আফিমের মৌতাতে মশগুল রয়েছে। বিজেপি’র আদর্শিক মূল-সংগঠন আরএসএস এর গেরুয়া-উত্তরীয়ধারী গুন্ডারা ‘সিভিল আর্মির ঢঙে লাঠি-মিছিল করে ভারতের বেশিরভাগ শহরে এখন মুসলিম সম্প্রদায়কে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে বাধ্য করছে, এবং স্লোগান দিতে অস্বীকার করলে লাঠিপেটা করে চলেছে। কর্ণাটকের ঐ তরুণী এহেন একটি মিছিলের সামনে পড়ে যাওয়ায় আক্রমণের শিকার হতে হয়েছিল।
পাঠকদের হয়তো মনে আছে, ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদী ভারতের নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তখন নোবেল পুরস্কার-বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন, কিন্তু ২০১৪-১৯ সালের পাঁচ বছরের মেয়াদে তাঁর জনপ্রিয়তায় মোটেও ভাটার টান পরিলক্ষিত হয়নি। বরং, ২০১৯ সালের নির্বাচনে মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি আরো বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুনর্নির্বাচিত হয়েছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বিজেপি তাদের কট্টর হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডাকে কোন রাখঢাক ছাড়াই সামনে নিয়ে এসেছে। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে মোদী সরকার একের পর এক এই হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়িত করে চলেছে, যার মধ্যে ভারতীয় সংবিধানে প্রদত্ত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার বিলোপ, ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনশীপ (এনআরসি) আইন পাশ এবং সর্বশেষ সিটিজেনশীপ এমেন্ডমেন্ট এক্ট (সিএএ) পাশ সারা ভারতে এবং বিশ্বেও প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভারতে ঐ সময় বড় বড় নগরীর রাজপথ প্রকম্পিত হয়েছে সিএএ-পাশের বিরুদ্ধে লাখ লাখ প্রতিবাদকারীর মিছিলে-স্লোগানে, যাতে নিহত হয়েছে প্রায় কুড়ি জন মানুষ। সিটিজেনশীপ এমেন্ডমেন্ট এক্টে যেভাবে মুসলিমদেরকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশকারী অন্য সকল ধর্মের অনুসারীদেরকে ভারতীয় নাগরিক হওয়ার বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছে তা যে চরম বৈষম্যমূলক ও অগ্রহণযোগ্য সাম্প্রদায়িকতা সেটা খোদ জাতিসংঘকেও ঘোষণা করতে হয়েছিল। কিন্তু, মোদী পুরোপুরি নির্বিকার। কারণ মোদী বুঝতে পেরেছেন, কট্টর হিন্দুত্ববাদী চরম-দক্ষিনপন্থী রাজনীতির আফিম এখন ভারতীয়দের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে প্রবলভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। অতএব, আগামী কয়েক বছরের নির্বাচনে বিজেপি’র বিজয়ের সম্ভাবনা এই আফিমের মৌতাতে বাড়বে বই কমবে না। ভারতে সাধারণ হিন্দু জনগণের মুসলিম-বিদ্বেষকে সুপরিকল্পিতভাবে উস্কে দিয়ে নরেন্দ্র মোদী ভারতের নব্য জনগণমনঅধিনায়ক বনে গেছেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতাদের বেলাগাম গলাবাজি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর কথিত অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের অর্থনীতি ও সমাজকে ‘উইপোকার’ মত কুরে কুরে খাচ্ছে বলে যত্রতত্র গালমন্দ করে বেড়াচ্ছেন। অবশ্য, পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী ইস্যুটা মমতা ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে গিয়ে অত্যন্ত খারাপভাবে ধরা খেয়ে গেছেন নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি নির্বাচনে গো-হারা হেরে গেছে। কিন্তু, এর আগে আসামে অবৈধ বাংলাদেশীদেরকে লাথি মেরে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়ার প্রোপাগান্ডা ঠিকই বিজেপিকে নির্বাচনী বিজয় এনে দিয়েছিল। ত্রিপুরায়ও সিপিএমকে হারিয়ে বিজেপি ক্ষমতাসীন হয়েছে। বলতে গেলে ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে এখনো মোদীর নির্বাচনী জনপ্রিয়তায় ভাটার টান ধরেনি। ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর জন্য মোদী এবং তাঁর চেলা-চামুন্ডারা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস পর্যন্ত বদলে দিচ্ছে, যেখানে মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু এবং কংগ্রেসের পরিবর্তে সাভারকার এবং বল্লভভাই প্যাটেলকে ‘প্রকৃত হিরো’ বানানোর প্রয়াস সামনে চলে এসেছে।
মোদীর কট্টর মুসলিম-বিদ্বেষ ও হিন্দুত্ববাদ ক্রমেই সারা বিশ্বে মুসলিম সাম্প্রদায়িক অপশক্তিগুলোকে চাঙ্গা করে তুলছে। বিশেষত, ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের তান্ডব বাড়ার প্রবল প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনে ভারতের ঐতিহাসিক ভূমিকার কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যেহেতু পারতপক্ষে ভারত-বিরোধী আবস্থান নেয় না তাই জনগণের একটি ক্রমবর্ধমান অংশ আওয়ামী-বিরোধী, ভারত-বিরোধী ও পাকিস্তানপন্থী বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়ছে। ২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফরে আসাকে উপলক্ষ করে হেফাজতে ইসলামের লেবাসধারী সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস আক্রমণ চালিয়ে বেধড়ক্ ভাঙচুর চালায় এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর প্রয়াস পায়। এসব দাঙ্গার অপচেষ্টার পেছনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উসকানির বিষয়টি এখন সপ্রমাণিত। পুলিশ ও র্যাব তাদেরকে দমনে বেশ কয়েক স্থানে গুলি চালালে ১২ জন দাঙ্গাকারীর প্রাণহানি ঘটে। এর কিছুদিন পর কুমিল্লায় হিন্দুদের দুর্গাপূজার মন্ডপে রাতের আধাঁরে হনুমানের মূর্তির কোলে পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে এসে সেটার ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে এবং পত্র-পত্রিকায় ছবি ছেপে আবারো দেশের নানা জায়গায় মন্দির-ভাঙচুর এবং হিন্দুদের বাড়ীঘর লুটপাট করা হয়। অতএব স্বীকার করতেই হবে, ২০১৪ সাল থেকে মোদী এবং বিজেপি ভারতে তাদের কট্টর হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের কারণে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষের রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ ও প্রগতিশীল দলগুলোর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে এবং বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি চাঙা হয়ে উঠছে, যা দেশের রাজনীতিতে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে। এই অশনি সংকেতকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নেয়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে মনে করি।
লেখক : সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়