ড. মইনুল ইসলামের কলাম

| বুধবার , ২০ অক্টোবর, ২০২১ at ৮:১০ পূর্বাহ্ণ

জরুরী ভিত্তিতে ভোলায় এলএনজি কনভারশান প্ল্যান্ট স্থাপন করা হোক
সম্প্রতি ১০ অক্টোবর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ ভোলায় আরো তিনটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে বলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এঙপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) এর পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। রাশিয়ার গ্যাস অনুসন্ধান প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম নাকি এই তিনটি গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নের কাজ পরিচালনা করবে। ফলে, অদূর ভবিষ্যতে ভোলায় আবিষ্কৃত এবং/অথবা উৎপাদনরত গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা দাঁড়াবে নয়টিতে, যেগুলোর সম্মিলিত উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় আড়াই ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিটে (টিসিএফ)। (এ-পর্যায়ে প্রশ্ন, বাপেঙকে বাদ দিয়ে প্রায় দ্বিগুণ খরচে গ্যাজপ্রমকে কেন দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে? গ্যাস খাতে বাপেঙকে কাজ না দিয়ে বিদেশী কোম্পানিগুলোকে দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যবসা দেওয়ার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এখানেও মার্জিনের ব্যাপার জড়িত নেই তো? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।) পাঠকদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, আড়াই টিসিএফ গ্যাস পুরো দেশের গ্যাসের চাহিদা মেটাতে পারবে প্রায় আড়াই বছর। বলা হচ্ছে, ভোলা নাকি গ্যাসের ওপর ভাসছে। এর মানে, অদূর ভবিষ্যতে ওখানে আরো গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। বর্তমান পর্যায়ে দেশে প্রমাণিত ও উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুতের পরিমাণ কমে ১০ টিসিএফ-এ চলে এসেছে। উপরন্তু, উৎপাদনরত গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হচ্ছে তা দিয়ে দেশের প্রতিদিনের গড় গ্যাস চাহিদার দুই-তৃতীয়াংশও মেটানো যাচ্ছে না। ফলে, আমাদেরকে গ্যাসের ঘাটতি মেটানোর জন্য এখন ক্রমবর্ধমান হারে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বে এলএনজি’র দামে প্রচন্ড উল্লম্ফন ঘটে চলেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে এলএনজি আমদানির ব্যয়ভার এখন দেশের আমদানি বিলে ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি করছে। গত দু’বছরে এলএনজি’র দাম বেড়েছে পাঁচগুণেরও বেশি। ফলে, এখন দেশের গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের অনেকগুলো বন্ধ রাখতে হচ্ছে, দেশের শিল্পখাতেও গ্যাস সরবরাহ কাটছাঁট করতে হচ্ছে। বিশ্বে গত দু’বছরে কয়লার দামও দ্বিগুণ হয়ে গেছে। অতএব, গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের এই খবরটাকে জনগণের জন্য একটা বিরাট সুখবর বলতেই হবে। আমরা যদি এর সুফল হিসেবে গ্যাস ও কয়লা আমদানি কমাতে পারি তাহলে জ্বালানী খাতের চলমান সংকট অনেকখানি নিরসন হবে। আর, যদি দেশের সমুদ্রসীমায় ভবিষ্যতে আরো কয়েকটি বড়সড় গ্যাসক্ষেত্র পাওয়া যায় তাহলে এলএনজি রফতানি করতে পারলে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনার জোয়ার সৃষ্টি হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
এ-পর্যায়ে পাঠকদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, প্রতিবেশী মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা নিয়ে কয়েক দশকের বিরোধ অত্যন্ত সফলভাবে মোকাবেলা করে ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল অন ল’স অব দি সি’স (ইটলস) এবং দি হ্যাগের আন্তর্জাতিক আদালত থেকে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। আমরা অনেকেই জানি না যে এই বিরোধে বাংলাদেশকে আইনী লড়াইয়ে হারানোর জন্যে ভারত মিয়ানমারের সাথে প্রত্যক্ষ যোগসাজশে লিপ্ত হয়েছিল। ইটলসে মিয়ানমারের পক্ষে আইনী লড়াই চালানোর দায়িত্ব নিয়েছিল ভারত, বাঘা বাঘা সব ভারতীয় আইনবিদ মিয়ানমারের মামলা পরিচালনা করেছে। এতদ্‌্‌সত্ত্বেও মিয়ানমার ইটলসের ঐতিহাসিক রায় তাদের পক্ষে নিতে পারেনি। এই পরাজয়ের পর ভারত চাণক্য-চাল চেলেছিল বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার মাধ্যমে সমুদ্রসীমার ভাগ-বাঁটোয়ারা নির্ধারণ করার প্রস্তাব দিয়ে। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের এতদ্‌্‌সংক্রান্ত নীতি-নির্ধারকরা ভারতের এই কূটচালের ফাঁদে ধরা না দিয়ে (ভারতের বিরাগভাজন হয়েও) বিষয়টার সমাধানের দায়িত্ব আন্তর্জাতিক আদালতে রেখে দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যেখানে ভারতের বাঘা বাঘা আইনবিদদের যুক্তিকে অগ্রাহ্য করে আদালত বাংলাদেশকে কোনঠাসা করার ভারতীয় অপপ্রয়াসকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। (ভারতীয় যুক্তি মানলে বাংলাদেশ ‘সি-লকড্‌’ হয়ে যেতো, যার মানে কন্টিনেন্টাল শেলফ অতিক্রম করে ভারত মহাসাগরের সীমানায় প্রবেশের জন্যে বাংলাদেশকে ভারত ও মিয়ানমারের করুণার ওপর নির্ভরশীল হতে হতো। আল্লাহর অশেষ রহমতে বাংলাদেশ এই মহাবিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে।) এই সমুদ্রবিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রায় এক লাখ আঠার হাজার বর্গ-কিলোমিটার সমুদ্রসীমার ওপর নিরংকুশ অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ (বীপষঁংরাব বপড়হড়সরপ ুড়হব) প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়েছে। এই ঐতিহাসিক বিজয় অর্জনের জন্যে ইতিহাস চিরদিন শেখ হাসিনার সরকারকে কৃতিত্ব দিয়ে যাবে। এটা শুধু এই বিশাল সমুদ্রসীমার ওপর ‘অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব’ স্থাপনের কৃতিত্ব নয়, বাংলাদেশকে বঙ্গোপসাগরের একটি বিশাল এলাকার সমুদ্র-সম্পদ আহরণের স্বর্ণ-সুযোগ উপহার দিয়েছে এই সমুদ্রবিজয়। বাংলাদেশের স্থলভাগের আয়তন যেখানে মাত্র এক লাখ চুয়াল্লিশ হাজার বর্গ-কিলোমিটারের সামান্য বেশি, সেখানে এক লাখ আঠার হাজার বর্গ-কিলোমিটার সমুদ্রসীমার ওপর অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ অর্জন যে বাংলাদেশের জন্যে কতবড় সৌভাগ্য–সেটা দেশবাসী সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারছেন কিনা জানি না! (এক্ষেত্রে সর্বশেষ কূটচাল চেলেছে ভারত ২০২১ সালে। আন্তর্জাতিক আদালতের রায় অনুসারে ভারত ও বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা চিịিত করে বাংলাদেশ ২০২০ সালে যে মানচিত্র জাতিসংঘে পেশ করেছে সেটা গ্রহণ না করার জন্য ভারত জাতিসংঘে আপত্তি উত্থাপন করে চিঠি পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এই আপত্তির বিষয়টি জানার পর সেটার পাল্টা জবাব দিয়ে জাতিসংঘকে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে মাসখানেক আগে। বিষয়টি এখন জাতিসংঘের বিবেচনাধীন)।
কিন্তু, ভারতের মোকাবেলায় সমুদ্রবিজয়ের সাত বছর অতিক্রান্ত হলেও সমুদ্র ব্লকগুলোতে তেল-গ্যাস আহরণের জন্যে বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানিকে ‘প্রোডাকশান শেয়ারিং কনট্রাক্ট’ এর ভিত্তিতে ব্লকের ইজারা প্রদানের ব্যাপারে জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া বিস্ময়করভাবে থমকে আছে। অথচ, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমার অদূরে মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণাধীন সমুদ্রে বেশ কয়েক বছর পূর্বে প্রায় চার টিসিএফ গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে। ঐ গ্যাস এখন পুরোটাই চীনে রফতানি করছে মিয়ানমার। ভারত এই গ্যাসের একটা অংশ পাইপলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভূখন্ডের ওপর দিয়ে নিজেদের দেশে আমদানি করার জন্যে প্রকল্প প্রণয়ন করে বাংলাদেশকে রাজি করানোর জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল ২০০১-২০০৬ মেয়াদের বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সময়। প্রস্তাবিত ঐ চুক্তিতে এমন শর্তও রাখা হয়েছিল যে বাংলাদেশের ভূখন্ডের ওপর দিয়ে যাওয়া পাইপলাইনের হুইলিং চার্জ তো বাংলাদেশ পাবেই, তদোপরি বাংলাদেশের প্রয়োজন হলে ঐ গ্যাসের একটা অংশ বাংলাদেশ কিনে নিতে পারবে। জোট সরকারের অন্ধ ভারত-বিরোধিতার কারণে বাংলাদেশ এই লোভনীয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মারাত্মক ঐ ভুল কীভাবে বাংলাদেশের জনগণকে সস্তায় প্রয়োজনীয় গ্যাস পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে তার একটা জ্বলজ্বলে নজির হয়েই থাকল ব্যাপারটা। এখন পাঁচ গুণ দাম দিয়ে এলএনজি আমদানি করে আমরা ঐ ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করছি! (ঐ প্রস্তাব গ্রহণ করলে বাংলাদেশকে চড়া দামে এলএনজি আমদানি করতে হতো না)। উপরন্তু, গ্যাস পাইপলাইনের হুইলিং চার্জ হিসেবে বাংলাদেশ প্রতি বছর ১২০০ কোটি টাকা আয় করতো, যা থেকেও আমরা বঞ্চিত হয়েছি।
এরপর, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ঐ অঞ্চলের নিকটবর্তী বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় একটি ব্লক দক্ষিন কোরিয়ার দাইউ কোম্পানিকে তেল-গ্যাস আহরণের জন্যে ইজারা দিয়েছিল। দাইউ যথাযথ প্রস্তুতি এবং সরঞ্জাম নিয়ে ঐ অঞ্চলে তেল-গ্যাস এঙপ্লোরেশন চালাবার জন্যে কয়েকটি জাহাজ নিয়ে উপস্থিত হলে সেখানে মিয়ানমারের নৌবাহিনী তাদেরকে বাধা দেয় এবং ফিরে আসতে বাধ্য করে। মিয়ানমারের যুক্তি ছিল যে ঐ অঞ্চলের সমুদ্রসীমার মালিক মিয়ানমার, বাংলাদেশের কোন অধিকার নেই ওখানে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের। ইটলসের রায়ে ঐ বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের মালিকানা ২০১২ সালে পেয়ে গেছে বাংলাদেশ, কিন্তু গত নয় বছরেও ওখানে এখনো এঙপ্লোরেশন শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোন ইজারাদার কোম্পানি। মিয়ানমার এই সমুদ্রাঞ্চলের ভূগর্ভস্থ যে গ্যাস তুলে নিঃশেষ করে দিচ্ছে ঐ গ্যাস তো বাংলাদেশও পেতে পারত। কারণ, সন্নিহিত অঞ্চলগুলোর ভূগর্ভে গ্যাসের মজুদ তো শুধু মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণাধীন সমুদ্রসীমায় সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ওখানে গ্যাস পাওয়া যাবেই, এটা প্রায় নিশ্চিত মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। হয়তো এহেন বিলম্বের কারণে কয়েক টিসিএফ গ্যাস থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ!
বাংলাদেশের এক লাখ আঠার হাজার বর্গ-কিলোমিটার অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমায় আরো প্রায় ২৩টি থেকে ২৫টি ব্লক ইজারা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও আহরণের জন্যে, কিন্তু গত সাত বছরে এ-ব্যাপারে কোন অগ্রগতিই পরিলক্ষিত হয়নি। এই ব্লকগুলো পাওয়ার জন্যে বিভিন্ন শক্তিধর দেশের বহুজাতিক করপোরেশনগুলো পর্দার আড়ালে প্রচন্ড লবিয়িং চালিয়ে যাচ্ছে বলে শোনা যায়। কিন্তু, আমরা চাই দেশের স্বার্থে শেখ হাসিনার সাহসী ও সঠিক সিদ্ধান্ত। সাত বছরেও সরকারের নীতি-নির্ধারকরা কোন সিদ্ধান্তে আসতে না পারাটা বড়ই রহস্যজনক বই কী! কয়েকবার নাকি বিভিন্ন সমুদ্র-ব্লকে জরিপের জন্য টেন্ডার ডেকে নাকচ করা হয়েছে। মনে হচ্ছে, এলএনজি আমদানিকারক কোম্পানিগুলো সব আয়োজন ভন্ডুল করে দিচ্ছে তাদের মুনাফা দীর্ঘদিন চালিয়ে নেয়ার স্বার্থে। এ-ব্যাপারে সরকারের অক্ষম্য ব্যর্থতার আসল কারণ কী? অতি সম্প্রতি ভারতের ওএনজিসি সমুদ্রের গ্যাস অনুসন্ধান কাজ শুরু করার খবর প্রকাশিত হয়েছে। আমরা আশায় রইলাম, আরো অন্যান্য দেশের ইজারাদার আমাদের সমুদ্রসীমায় অচিরেই কাজ শুরু করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেপ্টেম্বর মাসের সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় এ-ব্যাপারে মার্কিন বহুজাতিক করপোরেশনগুলোকে বিনিয়োগের জন্য তাঁর অনুরোধ আশা করি বিফলে যাবে না।
আমি নিশ্চিত যে সমুদ্রসীমায় অনুসন্ধান শুরু হলে বাংলাদেশ কয়েক বছরের মধ্যেই কয়েক টিসিএফ গ্যাস পেয়ে যাবে, তেল পাওয়াও অসম্ভব নয়। তখন আমাদেরকে সাগরের গ্যাস টার্মিনালে এলএনজি কনভারশাান প্ল্যান্ট নির্মাণ করে ঐ গ্যাস স্থলভাগে নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু আমার দাবি হলো, ভোলার গ্যাস অতিদ্রুত জাতীয় গ্যাস-গ্রীডে পৌঁছানোর জন্য ভোলায় জরুরী ভিত্তিতে একটি এলএনজি কনভারশাান প্ল্যান্ট স্থাপন করা হোক। বিষয়টাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করা হোক। এর মাধ্যমে পাইপলাইন স্থাপনের চাইতে অনেক কম খরচে এই এলএনজি জাহাজে ভরে মহেশখালীতে স্থাপিত দেশের এলএনজি টার্মিনালে পৌঁছানো যাবে। এ-রকম কনভারশাান প্ল্যান্ট স্থাপনের খরচও খুব বেশি নয়। এই এলএনজি’কে গ্যাসে রূপান্তরিত করার ব্যবস্থা মহেশখালী এলএনজি টার্মিনালে ইতোমধ্যেই স্থাপন করেছি আমরা। ভোলা থেকে এলএনজি মহেশখালী নিয়ে যাওয়ার পরিবহন খরচও বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে যে ফ্রেইট চার্জ বহন করতে হয় তার তুলনায় অনেক কম হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ড. মইনুল ইসলাম : সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রবাহ
পরবর্তী নিবন্ধডা. বিশাখা ঘোষ