গত ২২ এপ্রিল দৈনিক আজাদীতে ড. মইনুল ইসলামের ‘কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের কাছে বাংলাদেশের প্রমাণ করার কিছুই নেই’ কলাম মনোযোগ সহকারে পড়লাম। আমিও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন কট্টর হিন্দু। আমার হিন্দুত্ব ৯০% মুসলমানিত্বের সাথে মিশেল, অবশ্যই ভারতের কট্টর হিন্দুত্ব থেকে একটু আলাদা। শ্রদ্ধেয় অর্থনীতিবিদের কলামে বিবৃত বিবরণের জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের প্রতি আমার পূর্ণ সহমত পোষণ করছি। সেটি- যেকোন অবস্থায় “তিস্তার পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটির বাস্তবায়ন” বাংলাদেশের স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয়। যমুনা সেতু চালু হওয়ার পর এতদঞ্চলে সে পারের মানুষের চাপ বেড়েছে জীবিকার প্রয়োজনে। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপের ফল পদ্মাসেতু। চালু হলে আরো চাপ হওয়া স্বাভাবিক যদি সময়মতো সেখানে কর্মক্ষেত্র তৈরি না হয়। তিস্তা প্রকল্প চালু হলে সে এলাকার মানুষ সেখানেই জীবনের প্রয়োজনে সব করবে। এখানে চাপ কমবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি গতিশীল হবে। কারো দয়ার মুখাপেক্ষী হতে চাই না। ব্যক্তিগত, পরিবারের, সমাজের তথা বাংলাদেশের স্বার্থে আমাদের মাথা নত করে পথ চলা বর্তমানে অনুচিত। পরিশেষে একটি নিবেদন- আমি কোনদিন লেখার সাহস দেখায়নি। তবুও দেশের স্বার্থে আমার মত পেশ করলাম প্রফেসরের লেখার সূত্র ধরে।
নারায়ণ কৃষ্ণ গুপ্ত, জামালখান