পোপ ফ্রান্সিসের আমন্ত্রণে ভ্যাটিকান সিটিতে অনুষ্ঠিত মানব সৌভ্রাত্র বিষয়ক সভায় অংশগ্রহণ করতে গত ৯ জুন রোম পৌঁছেন নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী ৩০ জন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ একটি মানব সৌভ্রাত্র বিষয়ক ঘোষণা প্রস্তুত করতে ভ্যাটিকান সিটিতে সমবেত হন। প্রফেসর ইউনূস এই ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরি এবং ঘোষণাপত্র চূড়ান্তকরণ সংক্রান্ত কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন।
গত ১০ জুন রোমের সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে জনসমক্ষে এই মানব সৌভ্রাত্র বিষয়ক ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। ভ্যাটিকানের সেক্রেটারি অব স্টেট কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোলিন মহামান্য পোপের পক্ষে ঘোষণাপত্রটি গ্রহণ করেন। প্রফেসর ইউনূস এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী নাদিয়া মুরাদ যৌথভাবে ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন।
নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ীদের মধ্যে মারিয়া রেসা, কোস্টারিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অস্কার আরিয়াস, কলম্বিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সান্তোস, লেইমা বোয়ি, তাওয়াক্কুল কারমান, ডেনিস মুকওয়েজ ও শিরিন এবাদি এবং জাতিসংঘ উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশনার, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা, নিউক্লিয়ার যুদ্ধ নিরোধে চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন, নিউক্লিয়ার অস্ত্র বিলোপে আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইন, কৃষি আর্থিক সেবা কর্পোরশন, ইউনিসেফসহ বিভিন্ন নোবেল জয়ী সংস্থা এই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন ও চূড়ান্তকরণের কাজে জড়িত ছিলেন।
মানব সৌভ্রাত্রের এই ঘোষণায় প্রফেসর ইউনূসের ‘তিন শূন্য’র পৃথিবী (শূন্য বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও শূন্য বেকারত্ব) প্রতিষ্ঠার রূপকল্পটি বিশেষভাবে স্থান পেয়েছে। ঘোষণাপত্রে রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে যুদ্ধ ও সংঘাত নিরুৎসাহিত করতে বিভিন্ন দেশে প্রফেসর ইউনূস প্রস্তাবিত শান্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্থাপনের ধারণাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়। ঘোষণাপত্রে প্রকৃতির সাথে শান্তি স্থাপনে পরিবেশগত সৌভ্রাত্র গড়ে তোলা, সৃষ্টির প্রতি দায়িত্ব পালন এবং টেকসই জীবনপ্রণালী প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়। এই সৌভ্রাত্রের চূড়ান্ত লক্ষ্য–একটি মহত্তর সমাজ ব্যবস্থা যা পৃথিবীতে স্বাধীনতা ও সাম্য ত্বরান্বিত করবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।











