নগরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার আরো উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা তৈরির জন্য প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। গতকাল টাইগার পাসস্থ নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
মেয়র বলেন, রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি, ঢলের পানি, জোয়ার আর অসমাপ্ত প্রকল্প–সব মিলিয়ে চট্টগ্রামতো বটেই বান্দরবান আর সাতকানিয়ার মতো এলাকায়ও পানি উঠেছে। আমরা পানিবন্দি মানুষদের বাসায় বাসায় খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। মানুষ কষ্টে আছে। আমরা দ্রুততম সময়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কাজ করছি।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সংস্কার কাজের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। এবারের জলাবদ্ধতা মোকাবিলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এমনভাবে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে নগরীতে এ ধরনের জলাবদ্ধতা না হয়। প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে আমরা কাজ করছি এবং যেসব পয়েন্টে পানি বিভিন্ন বাধার কারণে জমে আছে সেসব বাধা সরানোর জন্য কাজ চলছে। কয়েকটি সরকারি সংস্থা ইউটিলিটি সার্ভিস লাইন বসানোয় নগরীতে জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী সমাধান চাইলে ড্রেনেজ সার্কেল গড়ে তুলতে হবে। অর্থাৎ সিভিল ও মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারের সমন্বয়ে একটি বিশেষায়িত টিম গড়ে তুলতে হবে যারা সারা বছর নগরীর জলপ্রবাহ, খাল–নালার পানি তোলার কাজ তদারক করবে এবং মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে।
মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত সকল কাউন্সিলরকে এলাকায় ড্রেনে কোন প্রতিবন্ধকতা আছে কীনা দেখার ও দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি দ্রুত রাস্তায় সৃষ্ট গর্তগুলো ভরাট করে জন ও যান চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য প্রকৌশল বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
একাধিক কাউন্সিলর দ্রুততম সময়ে জলাবদ্ধতা প্রকল্প শেষ করতে সিডিএ’কে তাগিদ দেয়ার জন্য সিটি মেয়রের কাছে অনুরোধ করেন। কাউন্সিলররা বলেন, জনপ্রতিনিধিদের নিজ নিজ এলাকার প্রকৃতি সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকায় সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা এবং তাদের পরামর্শ নেয়া উচিত ছিল। এটি করা হয়নি বলেই জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প জনস্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হচ্ছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, গোলাম মোহম্মদ জোবায়ের, হাসান মুরাদ বিপ্লব, জিয়াউল হক সুমন, মোবারক আলী, জহুরুল আলম জসিম, শফিকুল আলম, কাজী নুরুল আমীন, মো. মোর্শেদ আলী, আবদুস সালাম মাসুম, মো. ইসমাইল, মো. নুরুল আমিন, আশরাফুল আলম, এসারারুল হক, নুরুল আমীন, পুলক খাস্তগীর, আবদুল মান্নান, মো. ইলিয়াস, নুর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর আনজুন আরা বেগম, ফেরদৌসী আকবর, জাহেদা বেগম পপি, হুরে আরা বেগম, রুমকী সেনগুপ্ত ও রোজি আক্তর।