ডেঙ্গু আতঙ্কে মশক নিধন উপকরণ বিক্রি বেড়েছে

দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ ক্রেতাদের

জাহেদুল কবির | সোমবার , ১৭ জুলাই, ২০২৩ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। মানুষের মাঝেও আতঙ্ক বাড়ছে। মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে তাই বাজারে মশারি কেনার হিড়িক পড়েছে। মশা থেকে রক্ষা পেতে মশারিই মানুষের প্রধান ভরসা। মশারি ছাড়াও কয়েল, অ্যারোসল ও বৈদ্যুতিক ব্যাটের চাহিদাও বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, ডেঙ্গু বাড়ছে, তাই মশারি ও মশা মারার উপকরণ বিক্রি বেড়েছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, চাহিদা বাড়ার কারণে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

গতকাল নগরীর কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ও মানভেদে বিভিন্ন ধরনের মশারি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি মশারির দাম পড়ছে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ৮০০ টাকা।

নগরীর কেসি দে রোডের পাইকারি মশারি বিক্রেতা ইমাম হোসেন বলেন, আগের তুলনায় এখন দ্বিগুণ মশারি বিক্রি হচ্ছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও দোকানদাররা মশারি কিনতে আসছেন। এখন একেকজন ২০২৫ পিস মশারি নিয়ে যাচ্ছেন। লালদীঘি পাড় পুরাতন গির্জা এলাকার মিতালী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ডেঙ্গু বাড়ার কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে বেচাবিক্রি বেড়েছে। আমাদের খুচরার তুলনায় পাইকারি ক্রেতা বেশি। ইমরান হোসেন নামে একজন ক্রেতা জানান, প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। অনেক রোগী মারাও যাচ্ছে। আগে কেবল কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতাম। এখন মনে হচ্ছে মশা প্রতিরোধে মশারির বিকল্প নেই। তাই মশারি কিনতে এসেছি। ঘরের ছোট বাচ্চাদের জন্য আতঙ্কটা আরো বেশি। তবে বিক্রেতারা দামও বেশি নিচ্ছেন। ১০ ফুট বাই ৭ ফুটের একটি নকশা করা মশারির দাম চাচ্ছেন ১ হাজার ৫০০ টাকা। অথচ এই মশারি বড়জোর ১ হাজার টাকা হতে পারে।

জহুর হকার্স মার্কেট অলিদ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী এমএম ইলিয়াছ উদ্দিন বলেন, মশারির চাহিদা বাড়ার কারণে আমরা দোকানে মশারি এনেছি। বিক্রিও হচ্ছে আশানুরূপ। আসলে ডেঙ্গু নিয়ে মানুষের মধ্যে চাপা আতঙ্ক কাজ করছে।

এদিকে নগরীর নন্দনকানন রাইফেল ক্লাব এলাকার ইলেকট্রনিক্সের মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে মশা মারার বৈদ্যুতিক ব্যাটের চাহিদা বেড়ে গেছে। এসব ব্যাট শতভাগ আমদানিনির্ভর। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বৈদ্যুতিক ব্যাট বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায়। বিক্রেতা আবুল কাশেম বলেন, আগে সারা দিনে ৩৪ পিস ব্যাট বিক্রি হতো। এখন প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে ১০১২টি।

নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি প্যাকেট মশার কয়েল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৯০ টাকায়। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মশার মারার স্প্রে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যবসায়ীরা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধপোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা