ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংলগ্ন জায়গায় সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নিতে কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। শিক্ষক–শিক্ষার্থীসহ অধিদপ্তরের আওতাধীন সব অফিসের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এ বছর বর্ষা আসার আগে থেকেই এইডস মশাবাহিত এ রোগ প্রকট আকার ধারণ করেছে। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২০ হাজার।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন আশেপাশে স্বচ্ছ পানি জমার সম্ভাবনাময় জায়গা চিহ্নিত করে একদিন পরপর তা পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস বা উল্টে রাখতে রাখতে হবে। খবর বিডিনিউজের।
অব্যবহৃত হাই কমোডে হারপিক ঢেলে ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে এবং লো–কমোডের প্যানে হারপিক ঢেলে তা বস্তা বা কোনোকিছু দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। কোনো জায়গায় পানি জমলে সেখানে লার্ভিসাইড স্প্রে করা বা জমা পানি নিষ্কাশন করার ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বলেছে অধিদপ্তর।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে, ডেঙ্গু জ্বরে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়গুলো জানাতে হবে। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিতেও বলেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
