উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের অবহেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিশুটির নাম শারমিন আক্তার লিজা (৮)। এ ঘটনায় তার আত্মীয় স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভাংচুর করে।
জানা গেছে, গত রোববার রাতে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিরাপদ মা ও নিরাপদ শিশু ওয়ার্ডে এই রোগীর মৃত্যু হয়। শারমিন আক্তার লিজা উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাইছড়ি সমিতিরঘোনা এলাকার আফাজ উদ্দিনের মেয়ে।
তার মামা খালেকুজ্জামান বলেন, আমার ভাগনীর জ্বর হলে পরীক্ষা করার পর ডেঙ্গু পজেটিভ আসায় উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে ভর্তি করার কিছুক্ষণের মধ্যে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। এ সময় কর্তব্যরত ডাক্তারকে ডাকতে গেলে ডাক্তার ঘুম থেকে উঠে রোগী দেখতে আসবে বললেও আসেন নাই। পরে ডাক্তার এসে রোগী দেখে মৃত্যু হওয়ার বিষয়টি লিখে দিয়ে চলে যান। এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই রোগীর স্বজনরা চেচামেচি করলে নার্স ও গার্ডরা আমাদের একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখে। এ অবস্থায় ৯৯৯ এ কল দিলে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদের উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে উখিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা রঞ্জন বড়ুয়া রাজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আবাসিক মেডিকেল অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন।
উখিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সায়েদুল ইমরান শাওন জানান, রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় আমরা রোগী ভর্তি করতে অনীহা প্রকাশ করি এবং কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে দিতে চাই। কিন্তু রোগীর আত্মীয় স্বজন রেফার না নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বন্ড দিয়ে জোর করে হাসপাতালে রোগী ভর্তি করান। কিন্তু আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করার পূর্বেই রোগী মৃত্যুবরণ করে। পরে রোগীর আত্মীয় স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ডাক্তার, নার্সকে মারধর করেন এবং হাসপাতাল ভাংচুর করেন। এই ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
৯৯৯ এ ফোন পেয়ে উখিয়া থানার এসআই সাজ্জাদ উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখি রোগীর আত্মীয় স্বজনদের ক্ষুব্ধ অবস্থায়। পরবর্তীতে তাদের শান্ত করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।