ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৭ মৃত্যু

চলতি বছর প্রাণ গেল ১৫০ জনের

| রবিবার , ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরে একদিনে মৃত্যুর এই সংখ্যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ১৮ ও ২২ সেপ্টেম্বর একদিনে সর্বোচ্চ ৬ জন করে মারা গিয়েছিল ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত সাতজনকে নিয়ে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৫০ জনের মৃত্যু হল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৮৬০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এতে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৫৬৫ জনে। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১০৫ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮২ জন, উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে ২০ জন এবং ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

ঢাকার বাইরে বরিশালে ১৫ জন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় ১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ জন, খুলনা বিভাগে ৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছর সিলেট বিভাগের কোনো হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।

গতকাল শনিবার নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৮৭ জন, ঢাকা বিভাগে ৯৮ জন, ময়মনসিংহে ৩২ জন, চট্টগ্রামে ১৬৪ জন, খুলনায় ৫৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, রংপুর বিভাগে ১৭ জন, বরিশালে ১০১ জন এবং সিলেট বিভাগে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩১৭৪ জন রোগী। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৬৩৩ জন রোগী। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৫৪১ জন। এ বছর ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১৫ হাজার ৯৫৯ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১২ হাজার ৬০৬ জন।

চলতি সেপ্টেম্বর মাসে বছরের আগের যে কোনো মাসের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। এ সময় মৃত্যুও হয়েছে বেশি। ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ১৫ হাজার ৭২৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৬৭ জনের।

মাসওয়ারি হিসেবে এর আগে জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৩৩৯ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১১ জন; যাদের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরের মাসগুলোর মধ্যে এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। জুলাই মাসে ২৬৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়। আগস্টে ৬৫২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, যাদের মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগলায় ছুরি চালিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা ডাকাত নাছির গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধদুই সপ্তাহের মাথায় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটি বাতিল