চলতি ডিসেম্বরের ২১ দিনে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ সময়ে প্রবাসীরা ২ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন তাদের স্বজন ও সুবিধাভোগীদের কাছে। আগের নভেম্বরের ২৩ দিনে এসেছিল ১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। আর পুরো নভেম্বর জুড়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স এসেছিল ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক হালনাগাদ প্রতিবেদনে তিন সপ্তাহে দুই বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আসার তথ্য প্রকাশ করে। এতে টানা পাঁচ মাস ধরে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এল। চলতি বছর এপ্রিল থেকে দুই বিলিয়ন ডলার পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। মাঝে জুলাইতে শুধু তা এর নিচে নেমে যায়। খবর বিডিনিউজের।
এ বিষয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, রেমিটেন্সের দর ব্যাংকিং চ্যানেলে আগের চাইতে বেড়েছে। এ কারণে বেশি রেমিটেন্স আসছে। আড়াই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি প্রবাসীরা ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠালে প্রতি ডলারে পাচ্ছেন ১২০ টাকার বেশি। এ কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স বাড়ছে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। চলতি বছর মে মাসে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে ডলারের দর এক লাফে ১১০ থেকে ১১৭ টাকায় উঠে যায়। পরে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্সের দর নির্ধারণ করা হয় ১২০ টাকা।
রেমিটেন্স পাঠানোর ইতিবাচক ধারায় চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে এসেছে ১১ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে রেমিটেন্স বেড়েছে ২৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।