নগরের ডিসি হিলে সাংস্কৃতিক আয়োজনে সীমারেখা থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ডিসি হিল বন্ধ করে রাখার অধিকার কারো নেই। এ বিষয়ে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। এ সময় বিজয় মেলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য, গতবার বিজয় মেলাও হলো না। কেউ কোনো আওয়াজই করল না। অথচ চট্টগ্রাম থেকে বিজয় মেলার যাত্রা হয়।
অমর একুশে বইমেলা–২০২৪ উপলক্ষে গতকাল টাইগারপাস নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় লেখক, প্রকাশক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী অংশ নেন। তারা ডিসি হিলে পহেলা বৈশাখ ছাড়া অন্য কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করতে না দেয়ার বিষয়টি মেয়রের দৃষ্টিতে আনেন।
এ সময় মেয়র বলেন, ডিসি হিলে বইমেলা হবে না। কারণ অনেকে বলবে সেখানে স্টল কম হবে। কিন্ত ডিসি হিল আমাদের চট্টগ্রামের একটা হৃৎপিণ্ডে পরিণত হয়েছিল। ডিসি হিলে অনেক উৎসব হয়েছিল। সেজন্যই তো পরিকল্পনা করে ডিসি হিল তৈরি করা হয়। কিন্তু এ ডিসি হিল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা সবাই চুপ করে থাকি।
মেয়র বলেন, সাংস্কৃতিককর্মী, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষের দাবি আছে এখানে অনুষ্ঠান করার। আন্দোলন যে হয়নি তা না। তিনি বলেন, ডিসি হিল বন্ধ করে রাখার অধিকার কারো নেই। সেখানে অনুষ্ঠান হবে, করতে না দিলে আমাদের ছেলে–মেয়েরা, কিশোর–যুবকরা কোথায় যাবে? ডিসি হিল বন্ধ, জিমনেশিয়াম বন্ধ, শিশু পার্কও বন্ধ। সব বন্ধ হলে আমাদের চট্টগ্রামের মানুষ বসন্ত উৎসব, বইমেলা ও বিজয় মেলা করতে কোথায় যাবে? এগুলোর বিষয়ে আমাদের সোচ্চার হওয়া উচিত। কেউ হঠাৎ নির্দেশ দিয়ে দিল এবং আমরা চুপ করে হজম করব সেটার পক্ষপাতি নই আমি।
ডিসি হিলকে ঘিরে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, এগুলো করতেই হবে। তা না হলে আমরা পেছনের দিকে চলে যাব। প্রগতির দিকে যেতে পারব না, অন্ধকারের দিকে যাব।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ডিসি হিলে পয়লা বৈশাখ ছাড়া অন্য সব ধরনের অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। অথচ এর আগে ডিসি হিলে বছরের বিভিন্ন সময়ে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করত। এখানে একটি মুক্তমঞ্চও রয়েছে।