সরবরাহ সংকটের অজুহাতে ফের উত্তাপ বেড়েছে ডিমের বাজারে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরায় ডিমের ডজন বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বাজারে বেশিরভাগ ডিমের সরবরাহ হয় টাঙ্গাইল থেকে। সরবরাহ টাঙ্গাইল থেকে হলেও বাজারের নিয়ন্ত্রণ করে ঢাকার তেজগাঁও সমিতি। তারা সারা দেশের ব্যবসায়ীদের কত টাকা দরে ডিম বিক্রি করবেন, সেটি জানিয়ে দেন। সেই মতে বাজার নিয়ন্ত্রিত হয়। অপরদিকে ভোক্তারা বলছেন, ডিমের বাজার দীর্ঘদিন ধরে বাড়তি। প্রশাসনের অভিযানের পরেও ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। অথচ এই ডিম গরীব মানুষের প্রোটিনের একমাত্র উৎস। সেই ডিম নিয়েও ব্যবসায়ীদের কারসাজি থেমে নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে পাইকারিতে ১০০ পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৮০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ১২ টাকা ৮০ পয়সা। ডজনে প্রায় ১৫৪ টাকা। এদিকে খুচরা বাজারে গতকাল সেই ডিম বিক্রি হয় প্রতি ডজন ১৭৫ টাকায়। প্রতি পিসের দাম ১৪ টাকা ৫৮ পয়সা। অর্থাৎ পাইকারির তুলনায় প্রতি পিস ডিম ১ টাকা ৭৮ পয়সা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
পাহাড়তলী এলাকার একজন পাইকারি ডিম ব্যবসায়ী বলেন, ডিম কত দামে বিক্রি করতে হবে, সেটি আমাদের মোবাইলে এসএমএসে জানিয়ে দেন ঢাকার ব্যবসায়ীরা। সেই দামে আমরা ডিম বিক্রি করি। অপরদিকে পাইকারি বাজারের খোঁজ নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরাও একইভাবে দাম বাড়িয়ে দেন।
দামপাড়া এলাকার খুচরা ডিম বিক্রেতা মোহাম্মদ রানা বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে প্রয়োজন মতো ডিম এনে বিক্রি করি। পাইকারি বাজারে ডিমের দাম উঠানামার সাথে খুচরা বাজারে ডিমের দাম বাড়া কমার কোনো সম্পর্ক নেই।
চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল শুক্কুর দৈনিক আজাদীকে বলেন, হঠাৎ করে ডিমের সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বাড়তি। বর্তমানে ডিমের যে পরিমাণ চাহিদা আছে, সে পরিমাণ সরবরাহ নাই। তাই দামও বাড়তি। সরবরাহ বাড়লে আবারও দাম কমে যাবে।
ইমরান হোসেন নামের এক ডিম ক্রেতা বলেন, বাজারে প্রতিটি পণ্যই নিয়ে চলছে সিন্ডিকেট। ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক পণ্য নিয়ে খেলছেন। এর সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে ডিম। প্রশাসনের উচিত ডিমের বাজারে নিয়মিত মনিটরিং করা।