ডিবি পরিচয়ে প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাই সোর্সসহ পুলিশের এসআই আটক

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২০ মে, ২০২৪ at ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাই করে পালানোর সময় ধরা পড়েছে থানা পুলিশের এক সাবইন্সপেক্টর ও তার সোর্স। উপস্থিত জনতা তাদের আটক করে পুলিশে দেয়। রোববার দুপুরে নগরীর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে এ ঘটনা ঘটে। তাদের থেকে ছিনতাইকৃত আটটি স্বর্ণের বালা উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ১৬ ভরি। গ্রেপ্তার আমিনুল ইসলাম, খুলশী থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত। তার সোর্সের নাম শহীদুল ইসলাম জাহেদ (৩৫)। সাবইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলামের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলায়। তিনি পুলিশে যোগ দেন ২০১২ সালে। এ ঘটনায় পলাতক আছে আরও একজন। সোর্স জাহেদ নগরীর রাহাত্তারপুল এলাকার কেবি আমান আলী সড়কের বাসিন্দা।

সিএমপির উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান আজাদীকে জানান, স্বর্ণ ছিনতাইয়ের অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যসহ দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ছিনতাইয়ের শিকার আব্দুল খালেক বলেন, আমি সৌদি প্রবাসী। গত ১২ মে দেশে আসার সময় কিছু স্বর্ণালঙ্কার সৌদি আরবে রেখে এসেছিলাম। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার পরিচিত দুইজন বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন। তাদের কাছ থেকে সেই স্বর্ণালংকার এবং আরও কিছু মালামাল নিয়ে বাসে করে ফিরছিলাম। নগরীর টাইগারপাস মোড়ে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তিন ব্যক্তি আমাকে বাস থেকে নামিয়ে ফেলেন। আমবাগান সড়কে নিয়ে কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখেন। তারা আমার কাছ থেকে স্বর্ণালংকারগুলো কেড়ে নিয়ে সেগুলো বৈধ কিনা জানতে চান। তাদেরকে কাগজ দেখানোর পর তারা কাগজটি নিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন। এরপর তিন জনের মধ্যে দুই জন থানায় নেয়ার কথা বলে আমাকে সিএনজি টেঙিতে তুলে ফেলেন। ফ্লাইওভার দিয়ে উঠে কিছুদূর যাবার পর ওই দুইজন সিএনজি থেকে নেমে যান। আমিও নেমে পড়ি। এসময় তারা দৌঁড়ে ফ্লাইওভারের অপর প্রান্তে চলে গেলে আমি ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার করতে থাকি। এসময় তৃতীয় ব্যক্তি মোটর সাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে এলে তারা সেটায় চেপে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে একটি বালা পড়ে যায়। তখন তিনি সেটি নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় আমার চিৎকার শুনে মানুষজন জড়ো হচ্ছে দেখে মোটর সাইকেল চালক দুইজনকে রেখেই পালিয়ে যান।

খালেক আরও জানান, মোটর সাইকেলে উঠতে না পরে তারা একটি সিএনজি টেঙিতে উঠে যান। আমি দৌঁড়ে গিয়ে সেটিতে ঝুলে পড়ে চিৎকার করতে থাকি। এসময় ফ্লাইওভারে থাকা লোকজন জড়ো হয়ে যাওয়ায় তারা পালাতে পারেননি।

খালেক জানান, ফ্লাইওভার দিয়ে যাওয়া পুলিশের একটি পিকআপ থেকে ঘটনা কী হয়েছে জানাতে চায়। এসময় তাদের বলার পর তারা আমাকে এবং অপর দুই জনকে গাড়িতে করে পাঁচলাইশ থানায় নিয়ে যায়।

পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনে দুইজনকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ঘটনাস্থল খুলশী হওয়ায় তাদের খুলশী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৯ দিনে ১ হাজার ১৯০টি গাড়ি জব্দের পর ডাম্পিংয়ে
পরবর্তী নিবন্ধআমরা গর্বিত