ডাকাতির সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া গুলিতে ডাকাতের মৃত্যু

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৭:০৪ পূর্বাহ্ণ

ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড এলাকায় গভীররাতে প্রাইভেটকার আটকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দায়িত্বরত টহল পুলিশ এগিয়ে এলে ডাকাত দল তাদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। তবে ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে আহত তাদেরই এক সদস্য নিহত হয়েছে। নিহত মো. রাশেদ (২৬) সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের মধ্যম সোনাইছড়ি এলাকার বাদশা আলমের ছেলে। গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় উপজেলার ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কের পন্থিছিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান (৩৩) বাদী হয়ে অজ্ঞাত ডাকাত দলের বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার সকালে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পাশাপাশি গুলিতে নিহত ডাকাত রাশেদের বাবা বাদশা আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ডাকাত দলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

জানা যায়, রোববার রাতে ভুক্তভুগী ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান প্রাইভেটকারে করে টাঙ্গাইল থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে রাত সাড়ে তিনটার সময় তাদের গাড়ি সীতাকুণ্ডের পন্থিছিলা এলাকা অতিক্রমের সময় ৭৮ জন ব্যক্তি তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে লোহার পাইপ ছুড়ে মারে। কিছু দূর এগিয়ে গাড়িটি থামান তারা। তখন ডাকাত দলের সদস্যরা ছুটে এসে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ভিকটিমদের চিৎকার শুনে মহাসড়কে দায়িত্বরত টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। ডাকাত দল পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাতদলের ছোড়া গুলিতে বিদ্ধ হয়ে এক ডাকাত আহত হন। পরে তাকে সঙ্গে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাত দল। এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে আহত ডাকাতকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান বলেন, মহাসড়কে ডাকাতিতে অংশ নেওয়া সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সবাই মুখে মাস্ক পরা ছিল। তারা সবাই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও বিভিন্ন ভাষায় কথা বলছিল। শার্ট ও প্যান্ট পরিহিত ডাকাতদলের সব সদস্যের বয়স ২০ থেকে ৪৫ এর মধ্যে।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, মহাসড়কে ডাকাতদলের ফেলে যাওয়া দুটি রাম দা ও একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে গুলিবিদ্ধ ডাকাত রাশেদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

ওসি আরো বলেন, নিহত ডাকাতের প্যান্টের পকেটে চারটি মোবাইল ফোন ও কিছু নগদ টাকা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ডাকাতির কবলে পড়া ব্যবসায়ী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ডাকাতির মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া নিহত ডাকাত রাশেদের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ডাকাত দলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভ্যাট ৯ শতাংশে নামানোর কাজ শুরু হয়েছে : এনবিআর চেয়ারম্যান
পরবর্তী নিবন্ধহারুনের প্রেসিডেন্ট রিসোর্টে অভিযান