ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

| রবিবার , ২৩ নভেম্বর, ২০২৫ at ৭:২২ পূর্বাহ্ণ

জর্জিয়া থেকে নির্বাচিত মার্কিন কংগ্রেস সদস্য মারজোরি টেলর গ্রিন জানিয়েছেন, তিনি আগামী জানুয়ারিতেই প্রতিনিধি পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবেন। খবর বিডিনিউজের।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিবাদের কয়েকদিন পর সুপরিচিত এই রিপাবলিকানের কাছ থেকে এ ঘোষণা এল, বলছে বিবিসি। ট্রাম্পের মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন বা মাগা আন্দোলনের কট্টর সমর্থক গ্রিন শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় জানান, ৫ জানুয়ারিতেই তিনি কংগ্রেস ছাড়ছেন। সামনে নতুন কিছুর জন্য মুখিয়ে আছি, বলেছেন তিনি।

বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক তত্ত্ব প্রচার ও ট্রাম্পকে অন্ধ সমর্থন দিয়েই মূলধারার রাজনীতিতে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন গ্রিন, যদিও সমপ্রতি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন তিনি। শিশু যৌন নিপীড়ক প্রয়াত জেফ্রি এপস্টাইন সংক্রান্ত নথি প্রকাশ নিয়ে দুজনের মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসে। পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া ভিডিও বার্তায় গ্রিন তার অর্জনগুলোর তালিকা দেন এবং ট্রাম্পের সমালোচনা করেন। মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট কয়েক দিন আগেই মধ্যবর্তী নির্বাচনের সময় গ্রিনকে হারাতে অন্য রিপাবলিকান প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।

আমার আত্মসম্মান ও মর্যাদা ব্যাপক, পরিবারকে অনেক বেশি ভালোবাসি, এবং চাই না আমার চমৎকার কংগ্রেস আসন আমার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টের বেদনাদায়ক ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রাইমারি (দলীয় প্রার্থী নির্বাচনের ভোট) দেখুক, তাও সেই প্রেসিডেন্ট যার জন্য আমরা সবাই লড়েছি। নির্বাচনে আমি (হয়তো) লড়াই করে জিতব, কিন্তু রিপাবলিকানরা সম্ভবত মধ্যবর্তী নির্বাচনে হারতে যাচ্ছে, বলেছেন গ্রিন।

প্রতিনিধি পরিষদ থেকে তার পদত্যাগের ঘোষণার আগেই মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে এই গুঞ্জন প্রবল ছিল যে গ্রিন সম্ভবত জর্জিয়া থেকে সেনেটে বা গভর্নর পদে দাঁড়াতে চাইছেন। নিজেদের মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্যে আনার সময় ট্রাম্পও তার ট্রুথ সোশালে গ্রিনের এসব আকাঙ্ক্ষার কথা সামনে আনেন। বলেন, দুর্বল জনসমর্থনের কারণে রিপাবলিকান এ কংগ্রেস সদস্যকে ওই দুই পদের কোনোটিতেই দাঁড়ানোর চিন্তা করতে নিষেধ করেছিলেন তিনি।

সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আগ পর্যন্ত ট্রাম্প ও গ্রিন ছিলেন দীর্ঘদিনের মিত্র, জর্জিয়ার এ প্রতিনিধি আমেরিকা ফার্স্ট এজেন্ডাকে সামনে এগিয়ে নিতে ব্যাপক পরিশ্রমও করেছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে এপস্টাইন সংক্রান্ত যত নথি আছে তার সব প্রকাশের দাবি জানানো রিপাবলিকানদের দলে যোগ দেওয়ার পর দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে।

ট্রাম্প শুরুতে এপস্টাইন ফাইলস প্রকাশের বিলের বিরুদ্ধে ছিলেন, কিন্তু গ্রিন এবং আরও অনেক রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য বিলটির পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে বুঝতে পেরে তিনি পরে সুর পাল্টান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাট্যাধারের ‘কর্ণ-কুন্তি সংবাদ ও হিড়িম্বা’ আজ
পরবর্তী নিবন্ধটেলিগ্রাফ কিনতে ৫০ কোটি পাউন্ডের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ডেইলি মেইল