ট্রানজিটের ট্রায়াল রান শুরু করছে ভুটান

প্রথম চালানের পণ্য আজ চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে ভারতের ভূমি ব্যবহার করে যাবে ভুটানে চার্জ ফি এখনো চূড়ান্ত হয়নি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ at ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের ভূখণ্ড ও বন্দর ব্যবহার করে পণ্য পরিবহনের (ট্রানজিট) প্রথম পরীক্ষামূলক কার্যক্রম বা ট্রায়াল রান শুরু করছে ভুটান। প্রথম চালানের পণ্য আজ চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে ভারতের ভূমি ব্যবহার করে ভুটান যাবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের বাংলাদেশ সফর করে যাওয়ার একদিন পর দেশটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৫ টনের একটি চালান নিয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে এবং ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভুটানে যাবে।

ট্রায়াল রান সফলভাবে শেষ হলে দক্ষিণ এশিয়ার এই স্থলবেষ্টিত দেশটি চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ৬৮৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নিয়মিত পণ্য পরিবহন করতে পারবে। ভুটানি পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ইতিমধ্যে লিখিত সম্মতি প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ‘এগ্রিমেন্ট অন দ্য মুভমেন্ট অব ট্রাফিক ইন ট্রানজিট’ চুক্তি ও প্রটোকল সই হয়। গত বছরের এপ্রিলে ভুটানে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছিল, পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে দুটি ট্রায়াল রান সম্পন্ন হওয়ার পর চুক্তিটি কার্যকর হবে।

গত অক্টোবরে ভুটান একটি নোট ভার্বালের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জানায়, প্রথম ট্রায়াল রানের জন্য ১৫ টনের একটি চালান চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে লোড করা হয়েছে। থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত এই পণ্য খালাস ও পরিবহনের জন্য মেসার্স অভি কার্গো কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ভুটান চুক্তির অধীনে একটি যৌথ কারিগরি কমিটির চার্জ ও ফি নির্ধারণ করার কথা ছিল। তবে কমিটি গঠনের আগেই এবং চার্জ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই ভুটান ট্রায়াল রানের অনুরোধ জানায়। যেহেতু চালানটি ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে, তাই বন্ধুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশ এই ট্রায়াল পরিচালনায় রাজি হয়েছে।

ভুটানের এই ট্রায়াল ট্রানজিটের জন্য বাংলাদেশ ফি ও চার্জের একটি তালিকা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতি চালানে ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি ৩০ টাকা, ট্রান্সশিপমেন্ট ফি প্রতি টন ২০ টাকা, নিরাপত্তা চার্জ প্রতি টন ১০০ টাকা, এসকর্ট ফি প্রতি কন্টেনারে কিলোমিটারপ্রতি ৮৫ টাকা, প্রশাসনিক চার্জ প্রতি টন ১০০ টাকা এবং স্ক্যানিং ফি প্রতি কন্টেনারে ২৫৪ টাকা। এছাড়া সড়ক, টোল এবং করিডোর ব্যবহারের ফি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাংবাদিকরা রাজনৈতিক দলের পকেটে ঢুকে পড়লে তো সমস্যা : ফখরুল
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা