চন্দনাইশে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের সাথে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ এসএসসি পরীক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সিএনজিচালকও গুরুতর আহত হন। গত সোমবার সকালে বৈলতলী বরকল সড়কের যতরমুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারলেও গুরুতর আহত হওয়ায় ২ জন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। তাদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৈলতলী ইউপি চেয়ারম্যান এসএম সায়েম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, চলমান এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা দিতে সকালে উপজেলার বরমা ত্রাহি মেনকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ পরীক্ষার্থী সিএনজিযোগে সুচিয়া রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে যাচ্ছিল। তাদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাটি বৈলতলী–বরকল সড়কের যতরমুখ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীতমুখী একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে–মুছড়ে যায়। এ সময় সিএনজিতে থাকা ৫ জন পরীক্ষার্থী ও সিএনজি চালক গুরুতর আহত হয়। আহতরা হলেন বৈলতলী এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র এসএসসি পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ ইফাজ (১৬), একই এলাকার বদিউল আলমের পুত্র মো. ফয়সাল উদ্দীন রনি (১৬), জসিম উদ্দীনের পুত্র হাফিজ উদ্দীন (১৬) এবং বরমা বাতাজুড়ি এলাকার আবদুস সালামের পুত্র মো. তৌহিদুল ইসলাম শাওন (১৬), একই এলাকার আবদুল নবীর পুত্র আবদুল আজিজ তামিম (১৬)। সিএনজি চালক বৈলতলী এলাকার আনোয়ার ইসলামের পুত্র মো. হাবিব (২৫)। আহতদের উদ্ধার করে চন্দনাইশ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গুরুতর আহত অবস্থায় মোহাম্মদ ইফজা ও মো. তৌহিদুল ইসলাম শাওনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় সিএনজিচালক হাবিবকেও চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বরমা ত্রাহি মেনকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এএইচএম ছৈয়দ হোসেন জানান, গতকাল সোমবার হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে সিএনজি করে কেন্দ্রে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তার বিদ্যালয়ের ৫ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় মোহাম্মদ ইফাজ, ও মো. তৌহিদুল ইসলাম শাওনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করায় তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। তবে অপর ৩ জন প্রাথমিক চিকিৎসার পর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।









