জন দুর্ভোগের আরেক নাম কক্সবাজারের পেকুয়া–উজানটিয়া সড়ক। উজানটিয়া, মগনামা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সড়কটির মগনামা রূপাইখাল পয়েন্টে একযুগেও বসানো হয়নি একটি স্লুইচ গেট। বর্ষা কি শুকনো মৌসুমে প্রায় সময় সড়কটির বিভিন্ন পয়েন্টে জরাজীর্ণ কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার সড়কটির কালভার্ট ধ্বসে পেকুয়া সদরের সাথে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। জরাজীর্ণ কালভার্টে দিয়ে একটি ডাম্পার ট্রাক উঠলে সড়কের একটি অংশ ধসে পড়ে।
এদিকে ডাম্পার ট্রাকটি উদ্ধার করলেও ধসে পড়া স্থানের মাটি সরে গিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে লবণ মাঠ প্লাবিত হলে বর্তমানে লবণের মৌসুম হওয়ায় উৎপাদিত লবণের ব্যাপক ক্ষতি শঙ্কা দেখা দেয়। উপজেলা প্রশাসন এ সড়কটি সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। যে ঠিকাদার এ সংস্কার কাজের দায়িত্ব পায় তাদের কাজ সম্পূর্ণ করতে ১০ থেকে ১২ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়।
উজানটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম চৌধুরী মিন্টু জানান, ওই সড়কের মটকাভাঙ্গা এলাকায় দীর্ঘ ২৪ বছর আগে পেকুয়া–উজানটিয়া সড়কের রুপাইখালের উপর নির্মিত হয় একটি কালভার্ট। বিগত ১০ বছর ধরে এটি নড়বড়ে অবস্থায় ছিল। রাস্তায় যানবাহন চলাফেরা করতে দারুণ ব্যাঘাত ঘটছিল। এখন ডাম্পার ট্রাক চলতে গিয়ে এটি ধ্বসেই পড়ল। এর ফলে উজানটিয়া–মগনামা ইউনিয়নের জনগণের সাথে পেকুয়া সদরের যোগাযোগ এক প্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
উজানটিয়ার বাসিন্দা মীর মোশারফ হোসেন টিটু জানান, এ কালভার্টটি লুটপাটের প্রজেক্টে পরিণত হয়েছে। বিগত সরকার আমলে কালভার্টটি বেশ কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কোনো কাজ হয়নি।
পেকুয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আসিফ মাহামুদ জানান, স্লুইচ গেইট নির্মাণের বিষয়ে ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন অফিসে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ আসলে অবশ্যই স্লুইচ গেইট নির্মাণ করা হবে। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈনুল হোসেন চৌধুরী জানান, মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে শীঘ্রই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।