ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটরের সাথে হুম্মাম কাদেরের সাক্ষাৎ

| সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটরের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল রোববার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেন। খবর বাসসের।

হুম্মাম কাদের সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে আমি সাত মাস গুম ছিলাম। সে বিষয়ে কিভাবে অভিযোগ দেওয়া যায় তা নিয়ে কথা বলতে ট্রাইব্যুনালে এসেছিলাম। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেওয়া মৃত্যুদণ্ড শেখ হাসিনার শাসনামলে কার্যকর করা হয়। ওই বিচারের নিরপেক্ষতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন বিচারের মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তি ও তাদের স্বজনরা। রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ওই বিচার পরিচালিত হয় বলে দাবি তাদের।

১৬ নভেম্বর আয়নাঘরের দিনগুলোর দুঃসহ স্মৃতি সামনে এনে হুম্মাম কাদের চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, গুমের পুরো ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। একটা অপারেশন ছিল, আমি তো তখন জানতাম না। আমাকে প্রথম গায়েব করা হলো। আমার পরপরই জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে মীর আরমান এবং গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে গুম করা হলো। আমাদের সবার কানেকশন একটাই, আমাদের বাবারা সবাই সিনিয়র রাজনীতিবিদ ছিলেন এবং আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আযমী ভাই সাবেক আর্মি সদস্য এবং আরমান রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এই বিষয় নিয়ে আমরা কনফিউশনে ছিলাম, আমাদের তিনজনকে কেন গুম করা হলো। এখন বুঝতে পারছি, তারা চাচ্ছিল যে পরিবারের লিডারদের হত্যা করা হয়েছে, পরবর্তী প্রজন্ম যেন প্রতিবাদ করার সাহস না করে। তারা চাচ্ছিল পরিবারগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া হোক।

হুম্মাম কাদের তার বাবার বিরুদ্ধে পরিচালিত বিচার ও ফাঁসির রায় কার্যকর করার বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তার বাবার মরদেহ দাফন ও জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে তৎকালীন সরকারের নানা বাধার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীর বাহারছড়ায় শিক্ষার্থীকে মারধর করায় মাদ্রাসা শিক্ষক বরখাস্ত
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বন্দরকে পাঁচটি লোকের হাতে জিম্মি রাখতে চাচ্ছি না