কুতুবদিয়া উপকূলে ফেরার পথে মাছ ধরার ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ৮ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হয়। এর মাঝে মোটামুটি ভালো থাকায় দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ৬ জন এখনো বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। ৬ জনেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা. এম এস খালেদ।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে কূলে ফেরার পথে নৌকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন দগ্ধ ৯ জেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। দগ্ধ জেলেরা হলেন মোহাম্মদ জিসাদ (২৪), মোহাম্মদ সাইফুল (২২), ফরিদুল আলম (৪৩), নুরুল হোসাইন (৩৫), মোহাম্মদ মিনহাজ (১৪), মোহাম্মদ দিলশাদ (২০), দিলশাদ উদ্দিন (১৭), মোহাম্মদ সাদ্দাম (২৫) ও মোহাম্মদ মামুন (২৪)। তবে দগ্ধ আটজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়। চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা জানান, দগ্ধ হয়ে মোহাম্মদ সাইফুলের শরীরের ৮১ শতাংশ, ফরিদুল আলমের ৬৪ শতাংশ, নুরুল হোসাইনের ৫৫ শতাংশ, মোহাম্মদ মিনহাজের ৪৮ শতাংশ, মোহাম্মদ দিলশাদের ৪৭ শতাংশ, দিলশাদ উদ্দিনের ৪৭ শতাংশ, মোহাম্মদ সাদ্দামের ১১ শতাংশ ও মোহাম্মদ মামুনের ১৪ শতাংশ পুড়ে গেছে। এর মাঝে অবস্থা মোটামুটি ভালো থাকায় শেষ দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তারা বাসায় ফিরে গেছেন। বাকি ৬ জন এখনো বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।