ট্রমা সেন্টার না থাকায় দুর্ঘটনায় আহত অনেকেই প্রাণ হারান

সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৯ জানুয়ারি, ২০২৪ at ১০:০১ পূর্বাহ্ণ

ঢাকাচট্টগ্রামের মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনা, শিপ ইয়ার্ডের দুর্ঘটনার কারণে হতাহতের শিকার হচ্ছেন অনেকে। দুর্ঘটনা ঘটলেই আহত ব্যক্তিকে নিয়ে স্বজন বা উদ্ধারকারীরা প্রথমেই ছুটে যান সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে। কিন্তু সেখানে জরুরি এসব রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো ব্যবস্থাই নেই। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পথেই মারা যান অনেকে রোগী। কিন্তু তাৎক্ষণিক জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ঘটনার শিকার অনেকেই প্রাণ হারান। তাই অনেকেই এলাকায় ট্রমা সেন্টার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

সীতাকুণ্ডে ২টি হাইওয়ে থানা পুলিশের তথ্য অনুসারে, উপজেলার প্রতিদিন গড়ে একটি করে ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটে। গত এক বছরে ১৪৫টি দুর্ঘটনায় ৫৪ জন নিহত ও ২৩০জন আহত হয়েছে। তবে দুর্ঘটনা কবলিত রোগীদের তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে পাঠানো হয়। কিন্তু হাসপাতালে আহত রোগীদের চিকিৎসায় বিশেষায়িত ট্রমা সেন্টার না থাকায় তারা চিকিৎসা বঞ্চিত হন। হাসপাতালের চিকিৎসকের আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে আহত রোগীদের চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা জানান, দুর্ঘটনাজনিত কারণে আহতদের চিকিৎসার স্বার্থে সীতাকুণ্ডে পূর্ণাঙ্গ ট্রমা সেন্টার চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছে। জাহাজ ভাঙা শিল্পে প্রায়শ দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়াও ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়কে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রবণ হওয়ার পরও এ অঞ্চলে এতদিনেও একটি পূর্ণাঙ্গ ট্রমা সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হলো না, এই আক্ষেপ সীতাকুণ্ডবাসীর।

বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার্স ইনচার্জ খোকন ঘোষ বলেন, দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ট্রমা সেন্টার চালু করা জরুরি বলেও মনে করেন ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ওপর দিয়ে চলে গেছে ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়ক। এই মহাসড়কে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু এখানে কোনো ট্রমা সেন্টার নেই। একটি ট্রমা সেন্টার চালু করা হলে সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দারা উপকৃত হতেন।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিতে ট্রমা সেন্টার জরুরি। হাসপাতালে ট্রমা সেন্টার চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাকি জীবন উজাড় করে দিতে চাই মানুষের কল্যাণে
পরবর্তী নিবন্ধঅতিথি পাখির কলতানে মুখর কেইপিজেড