শাহ্ আমানতে সেতুতে গাড়ির টোল নিতে দেরি হওয়ায় এক টোলকর্মীকে (কম্পিউটার অপারেটর) লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। গত রোববার রাতে ওই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমলোচনার ঝড় উঠে। অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম নাজমুল মোস্তফা ওরফে আমিন। তিনি লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। এছাড়া তিনি জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক বলেও জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেনসহ বিএনপির নেতা–কর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে সাতকানিয়া উপজেলায় যাচ্ছিলেন। গাড়িগুলো ধীরে ধীরে টোল প্লাজা অতিক্রম করছিল। এ সময় টোল নিতে দেরি হওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতা নাজমুল মোস্তফা গাড়ি থেকে নেমে টোল প্লাজার বুথে প্রবেশ করেন এবং এক টোলকর্মীর ওপর ক্ষুব্ধ হন। ওই সময় তিনি ওই টোলকর্মীকে শাসানোর পাশাপাশি তার টি–শার্টের কলার ধরে লাঞ্ছিত করেন। টোল প্লাজার বুথে থাকা কম্পিউটারের মনিটরে আঘাতও করেন তিনি। ঘটনার আকস্মিকতায় টোল বক্সে কর্তব্যরত অন্যান্য কর্মীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এসময় কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা এগিয়ে আসলে তিনি টোল প্লাজার বুথ থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।
জানতে চাইলে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম দৈনিক আজাদীকে বলেন, এ ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে এখনো বিস্তারিত কিছু জানি না। এ ঘটনার তদন্ত করে প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে টোল প্লাজার ইজারাদার প্রতিষ্ঠান সেল–ভ্যান জেভির প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুমন ঘোষ বলেন, বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও এ ধরনের আচরণ নিন্দনীয়। বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে (সওজ’) জানানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি টোল কর্তৃপক্ষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিএনপি নেতা নাজমুল মোস্তফা আমিন মুঠোফোনে বলেন, আমি সাতকানিয়ায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম। টোল প্লাজায় এসে দেড় ঘণ্টা জ্যামে পড়ি। তখন বিভিন্ন গাড়ির যাত্রীরা জুমার নামাজের সময় হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তখন আমি গাড়ি থেকে নেমে টোল নিতে দেরি করায় টোলকর্মীকে বকাঝকা করে তাকে ড্রয়ারে টোলের টাকা দিয়ে দিই। আমি তাকে কোন ধরণের শারীরিক আঘাতও করি নি। এই সামান্য ঘটনাকে অনেকে বড় আকারে তুলে ধরছে।
তিনি আরো বলেন, আমার সাথে সিটি মেয়র শাহাদাত সাহেবও ছিল না। শাহাদাত সাহেবের সাথে আমার সাতকানিয়ায় অনুষ্ঠানাস্থলে গিয়ে দেখা হয়েছে। এ বিষয়ে টোল কর্তৃপক্ষেরও কোন অভিযোগ নেই। তৃতীয় পক্ষ ঘটনাটিকে বড় করে দেখছে।