ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নগরের টেরিবাজারে থান কাপড়ের দুটি গোডাউন পুড়ে গেছে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে বাজারটির খাজা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত গোউডাউন দুটিতে এ আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুরো আগুন নির্বাপন সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। আগুনে গোডাউন দুটিতে থাকা ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় ফায়ার সার্ভিসের ব্যবহার করা পানি পড়ে আশেপাশের আরো পাঁচটি গোডাউনেরও কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদ উপলক্ষে তারা কাপড় মজুদ করেছিলেন। আগুন লাগায় তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যা পুষিয়ে উঠা কঠিন হবে। এদিকে গত রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখা গেছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ধোঁয়া বের হচ্ছিল। এসময় পুরো টেরিবাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। উৎসুক জনতা ভিড় করে সেখানে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপ–সহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক আজাদীকে বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে টেরিবাজারের ২য় তলায় আগুন লাগার সংবাদ পাই। নন্দনকানন, চন্দনপুরা ও আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আগুনে একটি গোডাউনের দুটি কক্ষে রাখা মালামাল পুড়ে গেছে। অগ্নি নির্বাপনের সময় পানি পড়ে আশেপাশের দুয়েকটি গোডাউনেরও মালামাল ক্ষতি হয়েছে।
অগ্নি নির্বাপনে নেতৃত্ব দেয়া ফায়ার সার্ভিসের উপ–সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আজাদীকে বলেন, ১০টা ৪০ মিনিটে নির্বাপন সম্পন্ন ঘোষণা করা হয়। আল্লাহর রহমতে বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া গোডাউনের মালিক টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ–সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী আজাদীকে বলেন, দেশিয় থান কাপড় ছিল গোডাউনে। আগুন সব পুড়ে গেছে। ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পানি পড়ে আশেপাশের চার–পাঁচটি গোডউনেও ক্ষতি হযেছে।
টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান আজাদীকে বলেন, নাছির উদ্দিন চৌধুরীর দুটি গোডউন পুড়ে গেছে। নির্বাপনের সময় পাশের আরো ৫টি গোডউন–এর কাপড়ও নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫০–৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হবে।