টেকসই স্থাপত্যের মাধ্যমে ঝুঁকি কমাতে হবে

চুয়েটে স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্সে ড. তানজীম

| বৃহস্পতিবার , ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেছেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক এবং সামাজিকঅর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনন্য। কিন্তু আমাদের দেশ জলবায়ু পরিবর্তন, দ্রুত নগরায়ন এবং পরিবেশগত ঝুঁকির মুখোমুখি। তাই টেকসই স্থাপত্য চর্চার প্রয়োজনীয়তা এখন অত্যন্ত জরুরি। স্থাপত্যের শুধু কাঠামোগত স্থায়িত্ব নয়, বরং জ্বালানি দক্ষতা, অন্তর্ভুক্তি, সাংস্কৃতিক প্রাসঙ্গিকতা এবং পরিবেশগত সামঞ্জস্যতাএসব বিষয়কে আমাদের স্থাপত্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। টেকসই স্থাপত্য গড়ে তোলার মাধ্যমে ঝুঁকি কমাতে হবে। চুয়েটের এই সম্মেলন একাডেমিক, পেশাজীবী এবং শিক্ষার্থীদের একত্রিত করেছে, যেখানে বাংলাদেশের টেকসই ও স্থিতিস্থাপক স্থাপত্যের রূপরেখা অর্জনের ও স্থাপত্যে স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। সম্মেলনের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করা হবে এবং জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি, অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং করার মাধ্যমে নতুন সম্পর্ক তৈরির সুযোগ পাবেন।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের আয়োজনে ‘1st National Conference on Resilient Architecture Towards Sustainable Bangladesh (NCRATSB-2024)’ শীর্ষক দিনব্যাপী জাতীয় কনফারেন্সে অনলাইনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার সকালে চুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স কনভেনার ও স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সজল চৌধুরী। অনুষ্ঠানে কোকনভেনার ছিলেন স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিজওয়ানা ইসলাম। সঞ্চালনা করেন স্থাপত্য বিভাগের প্রভাষক সাদিয়া ইবনাত রাইছা।

চুয়েট ভিসি অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেন, পরিবেশের কোনো ভৌগলিক সীমারেখা নেই এবং কোনো দেশই বিচ্ছিন্নভাবে নিজ পরিবেশ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটিয়ে এককভাবে নিজের ভবিষ্যতকে শঙ্কামুক্ত করতে পারে না। এজন্য টেকসই উন্নয়নের জন্য অভ্যন্তরীণ ও বহির্বিশ্বের অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। যে দেশের যে ধরনের সক্ষমতা রয়েছে সে দেশ সেভাবে নিজেদের ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সামষ্টিক উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে এগিয়ে আসবে। কাউকে পিছিয়ে রেখে অন্যরা এগিয়ে গেলে সেই উন্নয়ন জাতীয় ও বৈশ্বিকভাবে টেকসই হবে না।

. সজল চৌধুরী টেকসই স্থাপত্যের এই কনফারেন্সকে আগামীতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করার প্রয়াস ব্যক্ত করেন। স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্সে কীনোট স্পিকার ছিলেন বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাইনের ডিন অধ্যাপক ড. আবু সায়েদ মো. আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতার মাহমুদ ও ব্র্যাকের ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রোগ্রামের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাপস রঞ্জন চক্রবর্তী। আমন্ত্রিত কীনোট স্পিকার হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশিকুর রহমান জোয়ার্দার।

উল্লেখ্য, স্থাপত্য বিভাগের ১ম জাতীয় কনফারেন্সে চুয়েট, বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষস্থানীয় একাডেমিশিয়ান, স্কলার্স ও রিসার্চারগণ অংশ নেন। এতে ৪জন কীনোট স্পিকার এবং ১জন আমন্ত্রিত স্পিকার ছিলেন। কনফারেন্সে ১৫টি পেপার উপস্থাপিত হয়। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও চুয়েট। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশে-বিদেশে কোনো প্রবাসী যাতে হয়রানির শিকার না হন
পরবর্তী নিবন্ধপড়ন্ত বেলায় কবিতা শতক