টেকনাফে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জমা দেননি সম্পদ বিবরণী

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৫ মার্চ, ২০২১ at ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ

সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আমজাদ হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ মামলাটি দায়ের করেন উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। মামলায় তার বিরুদ্ধে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় অভিযোগ করা হয়। আমজাদ হোসেন খোকন বাহারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে।
মামলার বাদী শরীফ উদ্দিন জানান, দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয় আমজাদ হোসেন খোকনকে। গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর আমজাদ হোসেন মূল সম্পদ বিবরণী ফরম গ্রহণ করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা দেননি এবং সময় বৃদ্ধির আবেদনও করেননি। আইন অনুযায়ী সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারির পর ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে হয়। সময় মতো দিতে না পারলে কারণ উল্লেখ করে সময়ের আবেদন করতে হয়। আসামি আমজাদ হোসেন আইনকে তোয়াক্কা করেননি। তার বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, বেকার জীবনযাপনের পর হঠাৎ কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যান যুবলীগ নেতা আমজাদ হোসেন খোকন। নিজের গ্রামে কোটি টাকা ব্যয়ে বানিয়েছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি। এর আগে ২০১৩ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের দেয়া শামলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের তৈরি মাদক কারবারিদের তালিকায় ওই সময়ের যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক খোকনের নাম রয়েছে। তালিকায় ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে চার নম্বরেই রয়েছে এই যুবলীগ নেতার নাম। পরবর্তীতে এই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক। এরপর প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী জারি করে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২। নোটিশে আমজাদ হোসেন খোকন নিজের ছাড়াও স্ত্রী, ছেলে সন্তান ও তার নির্ভরশীলদের নামে অর্জিত সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেয় দুদক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঙালি নিধনের স্থান সংরক্ষণ দাবি
পরবর্তী নিবন্ধনারীশিক্ষায় উপকৃত হয় পরিবার ও সমাজ