করোনাভাইরাসের হানায় একটা চাপা শঙ্কা নিয়েই চলছিল পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। শঙ্কার মধ্যে সমাপ্তিটা দারুণ হলো পাকিস্তানের। টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছে পাকিস্তান। তবে একই দিনে একটা অনাকাঙ্খিত খবরও শুনতে হয়েছে। করোনার থাবায় দুই দলের ওয়ানডে সিরিজটি স্থগিত হয়ে গেছে। পাকিস্তানে রঙিন পোশাকের সিরিজ খেলতে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। দুদিন আগে নতুন করে আরও পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে গতকালের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা হওয়া নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় টি-টোয়েন্টিটি মাঠে গড়ালেও ওয়ানডে সিরিজ স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে দুই দেশের বোর্ড। করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে গত বৃহষ্পতিবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি চলাকালেই বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানরা ওয়ানডে সিরিজ স্থগিতের খবর পেয়ে যান। তাতে সামর্থ দেখানোর জিদটা আরও বেড়েছিল কিনা কে জানে। তাইতো রেকর্ড গড়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে পাকিস্তান। আগে ব্যাটিং করে ২০৭ রানের পাহাড় গড়েছিল করোনার থাবায় জর্জরিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়াতে শেষ টি-টোয়েন্টিতে দলের সেরা বোলারদের বিশ্রাম দিয়েছিল পাকিস্তান। তার সুযোগ ভালো ভাবেই কাজে লাগিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৭ বলে ২টি চার ৬টি ছয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। শামারা ব্রুকস ৩১ বলে ৪৯, ব্রেন্ডন কিং ২১ বলে ৪৩ রান করেন। আর তাতেই রানের পাহাড়ে চড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অতীতে এতো রান তাড়া করে জিতেনি পাকিস্তান। কিন্তু বারব আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান সেটাতে পাত্তাই দিলেন না। দুজনের ওপেনিং জুটি ছিল ১৫৮ রানের। পাকিস্তান যে রেকর্ড গড়ে জিততে যাচ্ছে সেটা নিশ্চিত হয়েছিল এই জুটিতেই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে দুজনের এটা ষষ্ঠ শতরানের জুটি। ওপেনিংয়ে আর কেউ এতো বেশি শতরানের জুটি গড়তে পারেনি। আগের রেকর্ডটি ছিল ভারতের রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের । তারা দুজন পাঁচটি শতরানের জুটি গড়েছিলেন। বাবর ৫৩ বল খেলে ৯টি চার ২টি ছয়ে ৭৯ রান করেন। রিজওয়ান ৪৫ বলে ১০টি চার ৩টি ছক্কায় ৮৭ রান করেন। শেষ দিকে আসিফ আলি ৭ বলে করেন ২১ রান। ১৮.৫ ওভারেই তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ২০৮ রান তুলেছে পাকিস্তান। ম্যাচ সেরা এবং সিরিজ সেরা দুটো পুরষ্কারই জিতেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।