বিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচেই টি–টোয়েন্টির দাবি মিটিয়ে উত্তাল জাকিরের ব্যাট। তরুণ ব্যাটারের এমন রুদ্র রূপে মুগ্ধ সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলিং কোচ নাজমুল হোসেন। সমপ্রতি টেস্ট অভিষেকে সাড়া জাগানো জাকির টি–টোয়েন্টিতেও বড় ভরসা হতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশের সাবেক এই পেসার। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে শনিবার জাকির যখন উইকেটে যান, জয়ের জন্য সিলেটের প্রয়োজন তখনও ৫০ বলে ৯৩ রান। তবে জাকির ক্রিজে গেলেন, স্রেফ ১৮ বল খেললেন এবং লক্ষ্যটাকে নাগালে নিয়ে এলেন। বরিশালের বোলারদের তুলাধুনা করে তিনি খেললেন ১৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংস। দেশের ক্রিকেটে জাকিরের আবির্ভাব ছিল আগ্রাসী ব্যাটার হিসেবেই। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকও হয় টি–টোয়েন্টি দিয়ে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক ম্যাচ খেলেই থমকে যায় ক্যারিয়ার। এরপর নিজেকে অনেকটাই বদলে ফেলেন জাকির। এখন ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘ পরিসরে রানের ফোয়ারা ছোটে তার ব্যাট থেকে। সেই পথ ধরে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকে সোয়া পাঁচ ঘণ্টা ব্যাট করে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের আগমণী বার্তা দেন তিনি। পরের ম্যাচে মিরপুরেও ফিফটি করেন তিন ঘণ্টার বেশি উইকেটে কাটিয়ে।
তবে আগ্রাসী ব্যাটিং যে তার ডিএনএ থেকে হারিয়ে যায়নি, সেটিও দেখাচ্ছেন বিপিএলের এবারের আসরে। উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে কঠিন উইকেটে ২ চার ও ১ ছয়ে করেন ২১ বলে ২৭ রান। পরের ম্যাচে তো ছাড়িয়েই গেলেন নিজেকে। জাকিরের ৪ চার ও ৩ ছয়ে সাজানো ইনিংসেই সুগম হয় সিলেটের জয়ের পথ। মিরপুরে রোববার সিলেটের অনুশীলনের ফাঁকে বোলিং কোচ নাজমুল বলেন, টেস্ট দিয়ে জাতীয় দলে ফিরলেও জাকিরের সম্ভাবনা উজ্জ্বল কুড়ি ওভারের ক্রিকেটেও। অবশ্যই জাকির টি–টোয়েন্টিতে বড় সম্পদ হবে। রান তাড়ার ম্যাচে জাকিরের মতো এমন ইনিংস খুবই কম দেখেছি। ওর ইনিংসটাই আমাদের খেলার মোমেন্টাম বদলে দিয়েছে। এটি ধরে রাখতে পারলে টি–টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের জন্য বড় সম্পদ হতে পারে জাকির।