ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজ ড্র করার পর ওয়ানডে সিরিজটা একেবারে বাজে কেটেছে টাইগারদের। অবশ্য ওয়ানডে সিরিজের সে ব্যর্থতাকে ঢাকতে বেশি সময় নেয়নি লিটনের দল।
দুর্দান্ত এক জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছিল টাইগাররা। এরপর লক্ষ্য ছিল সিরিজ জেতা। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের একরকম উড়িয়ে দিয়ে তৃতীয়বারের মত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছে ২৭ রানে। ২০১১ সালের অক্টোবরে নিজেদের মাঠে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজটি জিতেছিল বাংলাদেশ। কিংস্টনে বাংলাদেশ দল ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করেছে।
ব্যাটাররা খুব বড় স্কোর গড়তে না পারলেও তাদের গড়ে দেওয়া ১২৯ রানের স্কোরটাকে দারুণ ডিফেন্ডেবল করে তুলেছিল টাইগার বোলাররা। দারুণ এক দলীয় পারফরম্যান্সে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে আরেকটি ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ দল।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই হারায় লিটন দাশকে। শুরুটাও করেছিলেন ধীর গতিতে। তৃতীয় ওভারে লিটনকে হারানোর পর চতুর্থ ওভারে ফিরেন তানজিদ তামিম। তৃতীয় উইকেটে সৌম্য এবং মিরাজ চেষ্টা করেছিলেন প্রতিরোধ গড়ার। এরই মধ্যে বৃষ্টি আঘাত হানে ম্যাচে। বৃষ্টির পর আবার খেলা শুরু হলে সৌম্য ফিরেন রান আউট হয়ে।
তাও টি-টোয়েন্টির সাথে বেমানান ১৮ বলে ১১ রান করে। ভাল খেলতে থাকা মিরাজ ফিরেন পরের ওভারে ২৬ বলে ২৫ রান করে। তবে বাংলাদেশ যে ১২৯ রানে যেতে পেরেছে সেটা জাকের আলি, শেখ মেহেদী হাসান এবং শামীম হোসেনের শেষ দিকের ঝড়ে। শামীম ১৭ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। মেরেছেন দুটি করে চার আর ছক্কা। এছাড়া জাকের আলির ২০ বলে ২১ আর মেহেদী হাসানের ১১ বলে ১১ রান দলের ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। ইনিংসের তৃতীয় এবং নিজের প্রথম ওভারে তাসকিন ফেরান ব্রেন্ডন কিং এবং আন্দ্রে ফ্লেচারকে। পরের ওভারে নিকোলাস পুরানকে ফেরান শেখ মেহেদী হাসান। এরপর দ্রুত জনসন চার্লস, রভম্যান পাওয়েল এবং শেপার্ড ফিরলে ৪২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন রোস্টন চেইজ এবং আকিল হোসেন। দুজন ৪৭ রান যোগ করে আশা দেখাচ্ছিলেন স্বাগতিকদের। রোস্টন চেইজকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। আর তাতে স্বাগতিকদের সম্ভাবনা অনেকটাই শেষ হয়ে যায়।
৩৪ বলে ৩২ রান করেন চেইজ। পরের বলে মটিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়ে তুলেছিলেন রিশাদ। পরের ওভারে আলজারি জোসেফকে রানের খাতা খুলতে দেননি তানজিম সাকিব। তখনো পথের কাটা হয়ে থাকা আকিল হোসেনকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০২ রানে অল আউট করে দেন তাসকিন। আকিল করেন ৩১ বলে ৩১ রান। বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ নেন ১৬ রানে ৩ উইকেট। ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী, রিশাদ হোসেন এবং তানজিম সাকিব। ম্যাচ সেরা হয়েছেন শামীম হোসেন।