আগস্টের ১২ তারিখ আজ। কিন্তু চট্টগ্রামে এখনো অধিকাংশ ওয়ার্ডে ভোক্তাদের মাঝে টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) জুলাই মাসের ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শেষ করতে পারেনি। নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিরাপত্তার কারণে প্রকাশ্যে আসতে না পারায় নগরীতে এখনো জুলাই মাসের পণ্য বিক্রি শেষ করতে পারেনি বলে টিসিবি সূত্রে জানা গেছে। জুলাইয়ের কার্যক্রম শেষ করতে না পারায় আগস্ট মাসের কার্যক্রমও শুরু করতে পারছে না টিসিবি। টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫০ জন ফ্যামিলি কার্ডধারী ব্যক্তি টিসিবি থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৩ লাখ ১ হাজার কার্ডধারী ফ্যামিলি টিসিবির পণ্য পাবেন। অবশিষ্ট কার্ডধারী উপজেলা পর্যায়ের। স্থানীয় কাউন্সিলররা ওয়ার্ডভিত্তিক যাদের তালিকা করে কার্ড দিয়েছেন তারাই টিসিবির পণ্য পেয়ে থাকেন।
টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, আমরা এখনো জুলাই মাসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শেষ করতে পারিনি। কিছু কিছু ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতির কারণে জুলাই মাসের কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রায় ওয়ার্ডে বিতরণ শেষ হয়েছে। জুলাই মাসের পণ্য বিক্রি শেষ হলে আগস্ট মাসের কার্যক্রম শুরু হবে। তবে আগস্ট মাসের কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে এখনো চিঠি পাইনি।
তিনি জানান, এবারের বরাদ্দে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারছেন উপকারভোগীরা। প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৬০ টাকা ও প্রতি কেজি চালের দাম ৩০ টাকা। এবার মোট প্যাকেজ মূল্য ৪৭০ টাকা।