টিসিবির ট্রাক থেকে নিত্যপণ্য ক্রয়ে মানুষের ভিড় বাড়ছে। করোনাকালে লকডাউনে টিসিবির ট্রাকে সাধারণ মানুষের লাইন কেবলই দীর্ঘ হচ্ছে। এখন বিক্রি করা হচ্ছে শুধুমাত্র চিনি, মসুরডাল ও সয়াবিন তেল। বাজার মূল্য থেকে প্রতি কেজি চিনি, ডাল ও প্রতি লিটার তেল ৫০-৫৫ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। যেই মুহূর্তে পণ্যের চাহিদা বাড়ছে-ঠিক সেই সময়েই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টিসিবির পণ্য বিক্রি। আজ ১৭ জুন থেকে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের নিত্যপণ্য বিক্রি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আগামী জুলাই থেকে আবার বিক্রি শুরু হবে বলে জানান টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদ।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানা গেছে, টিসিবির ভ্রাম্যমান ট্রাকে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ টাকায়। যা বাজার মূল্য থেকে প্রতি কেজি ২০ টাকা কম। মসুরডাল প্রতি কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৫৫ টাকায়। যা বাজার মূল্য থেকে প্রতি কেজি ৬০ টাকা কম। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ টাকায়। যা বাজার মূল্য থেকে প্রতি লিটার ৫০ টাকা কম। এ কারণে টিসিবির পণ্যের প্রতি গ্রাহকদের আগ্রহ আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।
গতকাল নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা বাজারে প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল প্রতি কেজি ১১৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ লিটার ৩০০ টাকা, ৩ লিটার ৪৫৫ টাকা, ৫ লিটার ৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদ আজাদীকে জানান, আমাদের পণ্যের চাহিদা আগের যে কোনে সময়ের তুলনায় বেড়ে গেছে। বাজার মূল্য থেকে কম দামে ভালো মানের পণ্য পাওয়ায় ভোক্তাদের মাঝে টিসিবির পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে। আমরা প্রথমে ২০টা ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করলেও চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ট্রাক ২৪টা করে দিয়েছি। প্রত্যেক ডিলারকে প্রতিদিন বিক্রির জন্য ৭শ’ কেজি চিনি, ৪শ’ কেজি ডাল ও ১ হাজার লিটার সয়াবিন তেল দেয়া হয়েছে।
জামাল আহমেদ আরো জানান, যে কোন কর্মসূচির একটা মেয়াদ থাকে। আমাদের এবারের ১২তম এ কর্মসূচির মেয়াদ ১৭ জুন পর্যন্ত। ঈদের আগে আবার চালু হবে।