লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদে মাদকাসক্ত ছেলে কুপিয়ে খুন করেছে নিজের পিতাকে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর আমিরাবাদ বণিক পাড়ায় বসতঘর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুনের ঘটনা ঘটে বুধবার রাতে। নিহতের নাম আনন্দ মোহন ধর (৬৫)। তিনি ওই এলাকার মৃত সচিন্দ্র ধরের পুত্র ও তিন সন্তানের জনক। গতকাল বিকেলে আমিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান এস এম ইউনুচ ও সদস্যদের সহায়তায় ঘাতক পুত্র রিটন ধরকে (৪৫) আটক করে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
নিহতের ভাগিনা সুদিপ্ত বণিক শুভ জানান, তার মামা আনন্দ মোহন ধর বাড়িতে একা থাকেন। সকাল ১০টার দিকেও ঘুম থেকে না উঠায় খোঁজখবর নেন। বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল এবং কোনো সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে বাড়ির টিনের দেয়াল কাটা দেখতে পান। ভিতরে দেখতে পান রক্তাক্ত লাশ।
স্থানীয়রা জানায়, পারিবারিক কলহ নিয়ে পিতা-পুত্রের মধ্যে প্রায় সময় কথা কাটাকাটি ও কলহ লেগে থাকত। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে মাদক সেবন করে রিটন ধর বাড়িতে যায়। ঘরের দরজা খুলতে বারবার চিৎকার-চেঁচামেঁচি করলেও পিতা দরজা খোলে দেয়নি। পরে সে রাতের কোনো একসময় টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে পিতাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
নিহতের অপর ছেলে মিটন ধর জানান, তার পরিবার ও মাকে তিনি চট্টগ্রাম শহরে থাকেন। সকালে তার পিতার রক্তাক্ত লাশ বাড়ির ভেতরে পড়ে থাকার খবর পান। এরপর তিনি পরিবারের অন্যদের সাথে নিয়ে দ্রুত বাড়িতে আসেন। তার ভাই রিটন ধর একজন মাদকাসক্ত। এ নিয়ে পরিবারের সাথে প্রায় সময় ঝগড়া-ঝাটি লেগে থাকতো।
রিটন ধরের স্ত্রী ঝিনু ধর জানান, তার স্বামী মাদকাসক্ত। তাদের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। তিনি উপজেলায় একটি ছোট চাকরি করেন। নেশা ও জুয়া খেলার জন্য টাকা না দিলে প্রায় সময় তাকে মারধর করত। স্বামীর অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।
লোহাগাড়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আবদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনার সাথে জড়িত রিটন ধর পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।