বান্ধবীর সাথে মোবাইলে কথা বলার সময় টিটকারি করায় তার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে রুমমেটকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছেন বাবুর্চি। গতকাল সোমবার বিকেল পৌনে ৩টায় নগরীর লালখান বাজার চাঁনমারি সড়কের হাইপেরিয়ন ভবনের তৃতীয় তলায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ছুরিকাঘাতে নিহত এসএম মঈন উদ্দিন তন্ময় (২৮) চুয়াডাঙা সদরের শেখপাড়া এলাকার এস এম কামাল উদ্দিনের ছেলে।
তন্ময় তিলোত্তমা টাইলস কোম্পানিতে হিসাব রক্ষক হিসেবে চাকরি করতেন। এ ঘটনার পরপরই পুলিশ নিহার রিচিল (৫০) নামে ঐ ব্যাচেলর বাসার বাবুর্চিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত নিহার শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি থানার মায়াঘাসি গ্রামের খারিজ সাংমার ছেলে। জানা যায়, এ বাসায় তন্ময়সহ তিলোত্তমা টাইলসের চারজন থাকতেন। নিহার রিচিলকে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে সেখানে বাবুর্চি হিসেবে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রায় ১১ বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় বাবুর্চি নিহার রিচিলের। এর মধ্যে নিহার রিচিলের সাথে জবানী ত্রিপুরা নামে এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নিহাল রিচিল মাঝে মধ্যে তার বান্ধবীর সাথে কথা বলার সময় তন্ময় ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতো। গতকালও একই ঘটনা ঘটলে সে ক্ষোভে ছুরি মেরে দেয়।
এই ব্যাপারে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা আজাদীকে বলেন, বিভিন্ন সময়ে তন্ময়ের সঙ্গে রিচিলের বাকবিতণ্ডা হত। তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল না। আজ (গতকাল) দুপুরেও দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় নিহার ছুরি দিয়ে তন্ময়ের বুকের বাম পাশে আঘাত করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের পরপরই আমরা নিহারকে গ্রেপ্তার করেছি। এই ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।