বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে উচ্ছ্বাস আগ্রহ বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে গাড়ি চলাচলের সংখ্যাও। গত রোববার সকাল ৬টায় যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পর থেকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৬ ঘণ্টায় চলাচল করেছে ৮ হাজার ৮৮৩টি গাড়ি। টোল আদায় হয়েছে ১৯ লাখ ১৪ হাজার ৬৫০ টাকা। এ হিসাবে প্রতি ঘণ্টায় চলাচল করছে প্রায় আড়াইশ গাড়ি।
বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল প্লাজার ব্যবস্থাপক বেলায়েত হোসেন আজাদীকে বলেন, প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে যান চলাচল কিছুটা বেড়েছে। প্রথম দিন রোববার ২৪ ঘণ্টায় চলাচল করে ৫ হাজার ৬৭৮টি গাড়ি। আদায় হয় ১২ লাখ ১৩ হাজার ৩০০ টাকার টোল। সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় চলাচল করে ৩ হাজার ২০৫টি গাড়ি, আদায় হয় ৭ লাখ ১ হাজার ৩৫০ টাকা টোল।
বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ আজাদীকে বলেন, টানেল অনেকের কাছে এখনো আশ্চার্যের বিষয়। তাই অতি উচ্ছ্বাসে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে এগুলো কমে আসছে। কেউ যাতে টানেলের ভেতরে নেমে অপ্রত্যাশিত কিছু করতে না পারে কর্তৃপক্ষ সেদিকে বেশি নজর রেখেছে।
এদিকে গতকাল সোমবারও আনোয়ারা প্রান্তের চৌমুহনী মোড় থেকে লোকাল সার্ভিসে লোকজনকে বাস ও মাইক্রোর মাধ্যমে পারাপার করতে দেখা গেছে। টানেল দেখতে আসা উৎসুখ মানুষ এই সুযোগ লুফে নেয়। আনোয়ারা প্রান্ত থেকে পতেঙ্গা বিচ পর্যন্ত লোকাল সার্ভিসে জনপ্রতি বাস ভাড়া ৫০ টাকা, কার বা নোহা ১০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হয়।
এদিকে সুযোগ পেয়ে স্থানীয় একটি চক্র এখানে চৌকি বসিয়ে চালকদের কাছ থেকে গাড়ি প্রতি ৫০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ জানান, খবর পেয়ে গতকাল দুপুরে আনোয়ারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে চক্রটি গা ঢাকা দেয়।