টানা বৃষ্টিতে ফের ডুবল নগর

বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে হাঁটু পানি আরো ভারী বর্ষণের আভাস, পাহাড় ধসের শংকা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৯ জুলাই, ২০২১ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ভারী বৃষ্টিপাতে আবারো ডুবেছে নগরীর বিস্তীর্ণ এলাকা। সড়ক, খাল ও নালা উপচে পানি ঢুকে পড়েছে বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর সমান পানি। আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, গতকাল বুধবার ১২৯ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে ভারী বর্ষণের ফলে নগরীর নিম্নাঞ্চলে সাময়িক জলবদ্ধতা সৃষ্টিসহ ভূমিধসের আশংকা রয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত ও নদী বন্দরের জন্য এক নম্বর নৌ-সতর্ককতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নগরীর চকবাজার, বাকলিয়া, পাঁচলাইশ, বহদ্ধারহাট, পতেঙ্গা হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ জনের কাকভেজা হয়ে চলা ফেরা করতে হয়েছে। এছাড়া মুরাদপুর, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, চকবাজার, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, হামজারবাগ, অক্সিজেন, বহদ্দারহাট, মোহাম্মদপুর, শুলকবহর, আগ্রবাদ সিডিএ এলাকাতেও জলাবদ্ধতা হয়েছে। নগরীর চকবাজারের সিরাজুদ্দৌলা রোডের বাসিন্দা রুবি আক্তার আজাদীকে বলেন, পাশের খাল থেকে ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। রান্না বান্না বন্ধ। ছেলে-মেয়ে সকাল থেকে কিছু খায় নি। এখন কি করব তা ভাবছি।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ফরিদ আহমেদ আজাদীকে জানান, ভারী র্বষণের ফলে পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে। মৌসুমী নিম্নচাপ হলেও বছরের এই সময়ে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আজও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের গতকাল সন্ধ্যা ৬টার স্থানীয় পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগ্ন একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৭ স্লুইচ গেট চালু না হওয়া পর্যন্ত মিলবে না সুফল
পরবর্তী নিবন্ধসর্বোচ্চ শনাক্তের দিনে মৃত্যু ছাড়াল ২০ হাজার