টানা দ্বিতীয় জয় পেল সিলেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ

বিপিএলে দুই বিদেশীর ব্যাটিং দৃঢ়তায় টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। আয়ারল্যান্ডের হ্যারি টেক্টর ও জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্লের ব্যাটিং দৃঢ়তায় গতকাল নিজেদের নবম ম্যাচে সিলেট ৫ উইকেটে হারায় খুলনা টাইগার্সকে। ৯ ম্যাচে ৩ জয় ও ৬ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠস্থানে আছে সিলেট। ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে আছে হ্যাট্রিক হারের স্বাদ পাওয়া খুলনা। খুলনার ৪ উইকেটে ১৫৩ রানের জবাবে সিলেট ১ ওভার বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করে নেয়। মিরপুর স্টেডিয়ামে গতকাল শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় খুলনা। সিলেটের স্পিনার ইংল্যান্ডের সামিত প্যাটেলের বলে আউট হন ১২ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইস। দ্বিতীয় উইকেটে ২৬ বলে ৩২ রান তুলে দলের স্কোর হাফসেঞ্চুরি পার করেন আরেক ওপেনার অধিনায়ক বিজয় ও আফিফ হোসেন। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬ বলে ২৪ রান করা আফিফকে শিকার করে ব্রেকথ্রু এনে দেন ইংল্যান্ডের বেনি হাওয়েল। আফিফের বিদায়ে ক্রিজে এসে ৬ বল খেলে ১ রান করে স্পিনার সানজামুল ইসলামের শিকার হন মাহমুদুল হাসান জয়। ৫৪ রানে ৩ উইকেট পতনের পর ৬৭ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়ে খুলনাকে ৪ উইকেটে ১৫৩ রানের সংগ্রহ এনে দেন বিজয়সোহান। শেষ ৩ ওভারে ৫১ রান তোলেন তারা। ৫১ বলে এবারের আসরে তৃতীয় হাফসেঞ্চুরির দেখা পাওয়া বিজয় শেষ পর্যন্ত ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৮ বলে অপরাজিত ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হবার আগে ৩টি করে চারছক্কায় ৩০ বলে ৪৩ রান করেন সোহান। সিলেটের সানজামুলপ্যাটেল ও হাওয়েল ১টি করে উইকেট নেন। ১৫৪ রানের জবাবে তৃতীয় ওভারে ওপেনার প্যাটেলকে হারায় সিলেট। ২টি ছক্কায় ১৩ রান করে স্পিনার নাহিদুল ইসলামের শিকার হন প্যাটেল। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ৩৪ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন সিলেটের রানের চাকা সচল রাখেন শূণ্যতে জীবন পাওয়া আয়ারল্যান্ডের হ্যারি টেক্টর। ৩টি চারে ১৮ রান করা শান্তকে শিকার করে নবম ওভারে খুলনাকে ব্রেকথ্রু এনে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার মার্ক দেওয়াল। একই ওভারে জাকির হাসানকে খালি হাতে বিদায় দেন দেওয়াল। ৬৫ রানে ৩ উইকেট পতনের পর ৩৫ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন টেক্টর ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। জুটিতে ৩টি চারে ২৪ রান তুলে দেওয়ালের তৃতীয় শিকার হন মিঠুন। অধিনায়ককে হারানোর পর টার্গেটে পথে এগিয়ে যেতে থাকেন টেক্টর ও জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল। ২১ বলে ২৮ রানের জুটি গড়ে ১৮তম ওভারে আউট হন ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫২ বলে ৬১ রান করা টেক্টর। টেক্টর যখন ফিরেন তখন শেষ ২ ওভারে ১৯ রান দরকার পড়ে সিলেটের। পেসার রুবেল হোসেনের করা ১৯তম ওভারে ৩টি ছক্কা ও ১টি চারে ২৪ রান তুলে সিলেটের জয় নিশ্চিত করেন বার্ল। ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৬ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন বার্ল। খুলনার দেওয়াল ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন সিলেট স্ট্রাইকার্সের হ্যারি টেক্টর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইমরান-শিরিন দ্রুততম মানব-মানবী
পরবর্তী নিবন্ধজালুঝনিকে সরিয়ে ইউক্রেনের নতুন সেনাপ্রধানের নাম ঘোষণা জেলেনস্কির