হার দিয়ে আবুধাবি টি–টেন লিগ শুরু করা বাংলা টাইগার্স পরের দুই ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ফিরেছিল। আগের ম্যাচেতো প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেয়নি সাকিবের দল। কিন্তু পঞ্চম ম্যাচে এসে আবার হারের বৃত্তে বন্দী হয়ে গেল টাইগার্স। আগের চার ম্যাচে এক জয়ে পয়েন্ট তালিকার নবম স্থানে থাকা আজমান বোল্টসের কাছে ৩১ রানে হেরেছে বাংলা টাইগার্স। আজমান বোল্টসের ইংলিশ ব্যাটার আলেক্স হেলসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সুবাদে টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিল আজমান বোল্টস। বাংলা টাইগার্সের বোলারদের পাশাপাশি ব্যাটাররাও ব্যর্থ হয়েছেন চরমভাবে। যার ফলে অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে হারতে হয়েছে বাংলা টাইগার্সকে। এই ম্যাচে হারলেও শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা এখনো টিকে আছে বাংলা টাইগার্সের। তবে সেক্ষেত্রে পরের দুই ম্যাচে অবশ্যই জিততে হবে। এখন দেখার বিষয় সে পথে কতটা হাটতে পারে বাংলা টাইগার্স। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা আজমান বোল্টস দারুণ শুরু করে। দুই ওপেনার শ্যাভন ডেনিয়েলস এবং আলেক্স হেলস মিলে দ্রুত ঘুরাতে থাকে রানের চাকা। ৫.৩ ওভারে ৭৭ রান যোগ করেন দুজন। সাকিব এসে ভাঙ্গেন এ জুটি। ১৮ বলে ২৭ রান করা ডেনিয়েলকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব। বাংলা টাইগার্সের বোলারদের সাফল্য বলতে এতটুকুই। আলেক্স হেলস এবং জেমস নিশাম মিলে বাকি ২৭ বলে যোগ করেন ৪৫ রান। মাত্র ৩০ বলে ৬টি করে চার এবং ছক্কায় ৭৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আলেক্স হেলস। আর ১৩ বলে ২টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন নিশাম। বাংলা টাইগার্সের সাকিব একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন ১৭ রানে। নির্ধারিত ১০ ওভারে আজমান বোল্টসের সংগ্রহ দাড়ায় ১২২ রান।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভাল করতে পারেনি মোটেও। আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা মোহাম্মদ শাহজাদ এবারে ফিরেছেন ৫ বলে ৬ রান করে। স্বদেশী মুজিব উর রহমানের বলে নিশামের হাতে ক্যাচ দেন শাহজাদ। পরের ওভারে ফিরেন দাসুন সানাকা। নিশামের বলে ডেনিয়েলের হতে ক্যাচ দেন ১ রান করা সানাকা। আগের ম্যাচ ঝড় তোলা আরেক আফগান হজরতুল্লাহ জাজাইও পারেনি দলকে টানতে। আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা জাজাই এ ম্যাচে ফিরেছেন ৯ বলে ১৭ রান করে। ব্যর্থ হয়েছেন এক ম্যাচ আগে ঝড়ো ব্যাটিং করা লিভিংস্টোনও। সে ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা লিভিংস্টোন ৪ বলে ৬ রান করে ফিরেছেন মোহাম্মদ মহসিনের বলে। এরপর ইফতেখার আহমেদ চেষ্টা করেছিলেন দলকে টানার। কিন্তু সাকিবের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে এই পাকিস্তানী ফিরেন ৮ বলে ২১ রান করে। এরপর রশিদ খানও ফিরলেন বড় শট খেলতে গিয়ে। ৬ বলে ৫ রান করেন এই আফগান ব্যাটার। ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তে থাকে বাংলা টাইগার্স। সেখান থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি সাকিবের দল। অধিনায়ক সাকিব হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেছে মাত্র। শেষ পর্যন্ত ১০২ রানে থামে বাংলা টাইগার্সের ইনিংস। ১৯ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন সাকিব আল হাসান। ৪টি চার এবং একটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। অপরদিকে ৬ বলে ১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন লুকমান ফয়সাল।