চারদিনের ম্যাচের মত ওয়ানডে সিরিজেও পাত্তা পেলনা আয়ারল্যান্ড ওলভস। গতকাল শেষ ম্যাচেও হেরেছে আইরিশরা। প্রথম শ্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি দাড়ায় চার ম্যাচের সিরিজে। আর সে সিরিজের চার ম্যাচেই জিতল স্বাগতিকরা। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে আইরিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের জয় মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে। শেষ ওভারে দারুণ বোলিং করে দলের জয় নিশ্চিত করেন সিরিজে প্রথম সুযোগ পাওয়া ডানহাতি পেসার রেজাউর রহমান রাজা। যদিও প্রথমে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিকরা নির্ধারিত ৫০ ওভার পুরোটা খেলতে পারেনি । দুই বল আগে তারা অলআউট হয়ে যায় ২৬০ রানে। লিস্ট ্তুএ্থ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন মাহমুদুল হাসান জয়। এছাড়া আর কেউ হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি। জবাবে পুরো ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড উলভস। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ৩ রান করে ফিরেন অধিনায়ক সাইফ। তবে দারুন খেলতে থাকেন প্রথম সুযোগ পাওয়া আনিসুল ইমন। প্রথম পাওয়ার প্ল্থেতে ৫৭ রানের মধ্যে ২৬ বলে ৩৬ রান করেন আনিসুল ইমন। তবে নিজের ইনিংসটি বেশি বড় করতে পারেননি তিনি। ৯ টি চারের সাহায্যে ৩১ বলে ৪১ রান করে ফিরেন। এরপর দলকে টেনে নিয়ে গেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। তিনি খেলেছেন ইনিংসের ৪৯তম ওভার পর্যন্ত। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১২৩ রান। মূলত জয়ের ইনিংসে ভর করেই ২৬০ রান পর্যন্ত যায় বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের সংগ্রহ। যদিও হৃদয় ২০, শাহাদাত ১৩, শামীম ১১, মাহিদুল ৩৩ রান করে কিছুটা সহায়তা করেন। আইরিশদের পক্ষে এডায়ার নিয়েছেন ৩ উইকেট। প্রিটোরিয়াস নেন ২ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নামা আইরিশদের শুরুটা বেশ ভালই ছিল। ৭ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেও দ্বিতীয় উইকেটে ৯৭ রান যোগ করেন মার্ক এডায়ার ও স্টিফেন ডোহেনি। এডায়ার ৪৫ রান করে ফিরে গেলেও ডোহেনি আগলে রাখেন একপ্রান্ত। শেষ পর্যন্ত ডোহেনি সাজঘরের পথ ধরেন ইনিংসের ৩৫তম ওভারে। তার সম্ভাব্য সেঞ্চুরিটি আটকে শামীম হোসেন। আউট হওয়ার আগে ৯ টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯৯ বলে ৮১ রান করেন ডোহেনি। এছাড়া শেষদিকে রকের ৩৫ রান ব্যতীত আর কেউই বলার মতো কিছু করতে পারেননি। শেষ ওভারে আইরিশদের জন্য প্রয়োজন ছিল ১১ রানের। প্রথম বলটিতে কোন রান আসেনি। পরের পাঁচ বলে পাঁচটি সিঙ্গেলের বেশি নিতে পারেনি চেজ-হোয়াইটরা। ফলে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল পায় ৫ রানের জয়। বাংলাদেশ ইমার্জিংয়ের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান। তিনি ১০ ওভারে মাত্র ৩১ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া শফিকুল ইসলাম ও তানভীর ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট। ম্যাচ এবং সিরিজ সেরার দুটি পুরষ্কারই পেয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়।