টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক তারকা ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন। আর সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আব্দুস সালাম মুর্শেদী জয়লাভ করেছেন। গতকাল শনিবার ২১ পদের বিপরীতে ৪৭জন প্রার্থী অংশ নেন বাফুফের এই নির্বাচনে। দুপুর দুইটায় শুরু হয়ে এই ভোট চলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় কাজী সালাউদ্দিনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ভোট গণনা শেষে জানা যায় সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিন ৯৪টি, বাদল রায় ৪০টি এবং শফিকুল ইসলাম মানিক ১টি ভোট পেয়েছেন। ২০০৮ সালে সালাউদ্দিন প্রথমবারের মতো বাফুফের সভাপতি হন। ২০১২ সালে দ্বিতীয় ও ২০১৬ সালে তৃতীয় মেয়াদে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব পান স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই ফরোয়ার্ড। দেশের ফুটবল কিংবদন্তি সালাউদ্দিন ক্লাব ক্যারিয়ারের সোনালী সময়টা কাটান ঐতিহ্যবাহী আবাহনী লিমিটেডে, খেলেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রেও। তিন দফায় বাফুফে সভাপতির দায়িত্ব পালনের আগে ছিলেন সংস্থাটির সহ-সভাপতিও। দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের টানা তৃতীয়বারের সভাপতি ৬৬ বছর বয়সী কাজী সালাউদ্দিন (বর্তমানেও দায়িত্বে আছেন)।
নির্বাচনে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আব্দুস সালাম মুর্শেদী হারিয়েছেন শেখ মোহাম্মদ আসলামকে। মুর্শেদী পেয়েছেন ৯১ ভোট আর আসলাম ৪৪ ভোট। চার সহ-সভাপতি পদের অন্য তিনটিতে নির্বাচিত হয়েছেন সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন পরিষদের ইমরুল হাসান, কাজী নাবিল আহমেদ, আতাউর রহমান মানিক। তাবিথ আওয়াল ও মহিউদ্দিন আহমেদের ভোট সমান হওয়ায় আগামী ৩১ অক্টোবর দুজনকে নিয়ে পুনরায় ভোটাভুটি হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।
রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবারের নির্বাচনে ১৩৯ কাউন্সিলরের মধ্যে ১৩৫ জন ভোট দেন। ৪ জন ছিলেন অনুপস্থিত। চট্টগ্রাম আবাহনীর কাউন্সিলর তরফদার রুহুল আমিন এবং ফরিদপুর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) সভাপতি নজরুল ইসলাম খন্দকার, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাউন্সিলর সাফওয়ান সোবহান তাজবীর ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কাউন্সিলর মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান এজিএমে ছিলেন না, ভোটও দেননি। নির্বাচনের আগে বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) গত বছরের আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট এবং আগামী বছরের বাজেট কোনো আপত্তি ছাড়াই অনুমোদন হয়।