টানা অষ্টম হারে রেলিগেশন শংকায় সিটি কর্পোরেশন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

| শুক্রবার , ৩ মে, ২০২৪ at ৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ

ম্যাচটি দু দলের জন্যই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আগের সাত ম্যাচে জয় না পাওয়া সিটি কর্পোরেশন একাদশ হন্য হয়ে ছুটছিল একটি জয়ের পেছনে। অপরদিকে মোহামেডানের বিপক্ষে একমাত্র জয়টি পাওয়া ইস্পাহানীর লক্ষ্য ছিল দ্বিতীয় জয় তুলে নেওয়া। শেষ পর্যন্ত এই লড়াইয়ে জয়টা ইস্পাহানীরই। নবম রাউন্ডে এসে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছে ইস্পাহানী এসসি। অপরদিকে টানা আট ম্যাচে হেরে রেলিগেশন শংকায় সিটি কর্পোরেশন একাদশ। দলটির বাকি তিনটি ম্যাচ শহীদ শাহজাহান সংঘ, পাইরেটস অব চিটাগাং এবং রাইজিং স্টার ক্লাবের বিপক্ষে। কাজেই এই তিন ম্যাচে অন্তত দুটি জিততে হবে সিটি কর্পোরেশন একাদশকে রেলিগেশন থেকে বাঁচতে হলে। এখন দেখার বিষয় এই কঠিন লড়াইয়ে কতটা সফল হতে পারে অফিস দলটি। গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থলুইস পদ্ধতিতে সিটি কর্পোরেশনকে ৩৭ রানে হারিয়েছে ইস্পাহানী এসসি।

সকালে আবহাওয়া বিরুপ থাকলেও নির্ধারিত সময়েই খেলা শুরু হয়। কিন্তু ২.৫ ওভার খেলা হতেই বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর মাঠ আবার খেলার উপযোগী হতে দুই ঘন্টার বেশি সময় লেগে যায়। ফলে বেলা সোয়া একটায় যখন খেলা শুরু হয় তখন ম্যাচের আয়ু কমে নির্ধারিত হয় ২৮ ওভারে। নির্ধারিত সময়ে শুরু হওয়া ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ইস্পাহানী। শুরুটাও তাদের বেশ ভাল ছিল। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ২.৫ ওভারে ১৫ রান তুলে নিয়েছিল ইস্পাহানীর দুই ওপেনার। বৃষ্টির পর আবার দুজন ইনিংস শুরু করতে নামেন। কিন্তু বেশিদুর যেতে পারেননি। ৩৮ রানে বিচ্ছিন্ন হন দুজন। ১৩ রান করে ফিরেন নোমানুর। সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার শামসুর রহমান শুভ এসেও দলের দায়িত্ব নিতে পারেননি । তিনিও ফিরেছেন ১৩ রান করে। এক পর্যায়ে ৭৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইস্পাহানী । সেখান থেকে দলকে টানেন মামুন এবং কামরান। দুজন মিলে যোগ করেন ৬২ রান। ৬৪ বলে ৫টি চার এবং ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৭৪ রান করে মামুন ফিরলে ভাঙে এজুটি। এরপর কামরান একাই লড়াই করে গেছেন। পরের কোন ব্যাটার দুই অংক স্পর্শ করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত কামরান ফিরেছেন ৪৪ বলে ৫৫ রান করে। আর তাতেই ২৮ ওভারে ইস্পাহানীর ইনিংস গিয়ে পৌছে ১৮২ রানে। সিটি কর্পোরেশন একাদশের পক্ষে ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন। ৩টি উইকেট নিয়েছেন আনিসুল ইসলাম। ২টি উইকেট নিয়েছেন তানভীর হোসেন।

১৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২২ রানে দুই উইকেট হারায় সিটি কর্পোরেশন। আনিসুল এবং লিখন কেউই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেনি। তৃতীয় উইকেটে পাভেল এবং আরিফ রেজা মিলে ৫৬ রান যোগ করে আশা জাগিয়েছিল সিটি কর্পোরেশন শিবিরে। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর আর ঘুরে দাড়াতে পারেনি পরের ব্যাটাররা। ৩৪ বলে ৩৩ রান করে ফিরেন আরিফ রেজা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে পড়েছে সিটি কর্পোরেশন একাদশের উইকেট। একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে করতে রনে ভঙ্গ দেন পাভেলও। তার আগে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ওপেনার। ৫৪ বলে ৫৩ রান করে ফিরেন পাভেল। আর এরপর আর বেশিদুর এগুতে পারেনি সিটি কর্পোরেশন। ১৫১ রানে থামে তাদের ইনিংস। শেষ দিকে ইশতিয়াক ১৫ এবং রনি করেন ১২ রান। তওসিফের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। ইস্পাহানী এসসির পক্ষে ১৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেণ আবদুল্লাহ আল মামুন। একটি করে উইকেট নিয়েছেণ সাজ্জাদুর, সাইদুল এবং শহীদ।

গতকাল লিগের অষ্টম রাউন্ড শেষ হয়েছে। এই রাউন্ড শেষে শীর্ষে আছে যথারীতি আবাহবনী। ৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২১। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তবে নেট রান রেটে এগিয়ে আবাহনী। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থা এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। আর কোন পয়েন্ট না পেয়ে সবার শেষে রয়েছে সিটি কর্পোরশেন একাদশ। আগামী ৪ মে শুরু হবে লিগের নবম রাউন্ড।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটানা তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ ভারতীয় নারীদের
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১৬.১৮ কোটি টাকা