মাঠের সঙ্গে সম্পূর্ণ অভ্যস্ত হওয়ার আগেই ছয় মিনিটের মধ্যে গোল হজম করেন বাংলাদেশের বদলি কিপার আসিফ। তাতে ভারত সমতায় ফেরে। সেই ম্যাচ বাংলাদেশ টাইব্রেকারে জিতেছে গোলরক্ষক আসিফের কৃতিত্বেই। টাইব্রেকারে প্রথম ও পঞ্চম দুই শট ঠেকিয়ে তিনি বাংলাদেশের জয়ের নায়ক। রুদ্ধশ্বাস সেমিফাইনাল শেষে কাঠমান্ডু থেকে আসিফ বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল পেনাল্টি (টাইব্রেকার শট) ঠেকাবই। দলের সবাইকে বলছিলাম, তোমরা সবাই গোল করো। মিস করো না। আমি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেব।’ টাইব্রেকার টসের পর ভারত প্রথমে শট আর বাংলাদেশ সেভ এটা সিদ্ধান্ত হয়। ভারতের প্রথম শটই ঠেকিয়ে ফেলেন আসিফ। এরপর বাংলাদেশ টানা চার শট গোল করে। ভারতের পঞ্চম শট ঠেকানোর পর উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ। ভারতকে হারানোর নায়ক অনুভূতি ব্যক্ত করলেন এভাবে, ‘আসলে এখন দেশের পরিস্থিতি সবারই জানা। আমরা তাই খুব করে চাইছিলাম ভারতের বিপক্ষে জিততে। আমাদের এই জয় দেশবাসীকে উৎসর্গ।’ ম্যাচের শুরুতে গোল হজম প্রসঙ্গে বলেন, ‘ম্যাচের সিচুয়েশনে গোল হজম করে ফেলি। এরপর থেকে টার্গেট নিয়েছিলাম। টাইব্রেকারে সেরাটাই দিব এবং সেভ করবই। শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছি।’ বাংলাদেশ জুনিয়র দলে নিয়মিত খেললেও প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে খেলা হয় না আসিফের। বসুন্ধরা কিংসে আনিসুর রহমান জিকো ও মেহেদী হাসান শ্রাবণ থাকায় সাইডবেঞ্চেই থাকতে হয়। তবে ঘরোয়া ফুটবলে বিশেষ এক জায়গায় রয়েছেন গোলরক্ষক আসিফ। গত বছর বাফুফে এলিট একাডেমি ফুটবলারদের নিলামে তুলেছিল। সেই নিলামে গোলরক্ষক আসিফই সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছিলেন। প্রথম ফুটবল নিলামে সর্বোচ্চ দামী খেলোয়াড় হিসেবে আসিফের তাই বিশেষ অবস্থান। খাগড়াছড়ির সন্তান আসিফের লক্ষ্য সিনিয়র দলে গোলকিপিং করা। আসন্ন ভুটান সফরে পূর্ণাঙ্গ দল এখনো ডাকেনি। এই পারফরম্যান্সের পর আসিফের মৃদু স্বপ্নও জাগছে। আসিফ ও শ্রাবণ দুই গোলরক্ষক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মেহেদী হাসান শ্রাবণের সিনিয়র দলে অভিষেক হলেও আসিফ এখনো বয়সভিত্তিক দলেই রয়েছেন। বয়স বিশের নিচে থাকায় শ্রাবণ সাফ অনূর্ধ্ব–২০ টুর্নামেন্টে মূল গোলরক্ষক হিসেবেই খেলছিলেন।