ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হারলেও টি–টোয়েন্টি সিরিজে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। শুধু ঘুরেই দাঁড়ায়নি, প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ইংলিশদের হারিয়ে রীতিমত ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে সাকিবের দল। এখন আরো উঁচুতে উঠার পালা।
আর সে লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি। সিরিজের তৃতীয় টি–টোয়েন্টি ম্যাচটি ইংলিশদের হারাতে পারলেই গড়া হবে নতুন আরেকটি ইতিহাস।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি–টোয়েন্টি ম্যাচ জয়। প্রথম সিরিজ জয়ও হয়ে গেল। এখন যদি হোয়াইট ওয়াশ করা যায় তাহলে সেটা হবে বিরল এক অর্জন। অবশ্য টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে কেবল জিম্বাবুয়েকে হোয়াইট ওয়াশ করতে পেরেছে টাইগাররা। ইংল্যান্ডকে সে স্বাদ দিতে পারলে টেস্ট খেলুড়ে অন্য দেশের পাশাপাশি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হোয়াইট ওয়াশের বিরল কৃতিত্ব অর্জন করবে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ছয় উইকেটে জয় তুলে নিয়ে ঢাকায় গিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে চার উইকেটে সিরিজ নিশ্চিত করা জয়টি পেয়েছে সাকিবরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের প্রথম স্বাদ নিল বাংলাদেশ। এবার সেটাকে হোয়াইট ওয়াশে নিয়ে যাওয়ার পালা। যদিও কাজটা যে বেশ কঠিন সেটা ভালই জানা টাইগার শিবিরের। কারণ সিরিজ হারিয়ে শেষ ম্যাচে আহত সিংহের মত স্বাগতিকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে ইংলিশরা। আর বাংলাদেশও সে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
দলের সিনিয়রদের ছাড়াই ২০২৪ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যে প্রস্তুতি শুরু ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ সে পথে যেন যাত্রাটা ভালই করল সাকিবরা। এখন আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়ার পালা। প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং দুর্দান্ত হয়েছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত বোলিং বাংলাদেশর জয়টা সহজ করে দিয়েছিল। আর দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে নায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের অন্যরাও সমান অবদান রেখেছেন। তাই একেবারে একটি দল হয়ে খেলার যে কথা বরাবরই বলে থাকে বাংলাদেশ দলের কোচ–অধিনায়ক, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ যেন তারই প্রতিফলন। এখন কেবল শেষটা রাঙানোর অপেক্ষা। যদিও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি–টোয়েন্টি সিরিজে এখনো ঘুমিয়ে আছে লিটন দাশের ব্যাট। দলের এই সেরা ব্যাটারের দিকে শেষ ম্যাচে নিশ্চয়ই তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। হয়তো এখনো মাঠে নামতে না পারা রিজার্ভ বেঞ্চের তিন ক্রিকেটারের মধ্যে যে কারো সুযোগ মিলতে পারে এই ম্যাচে। যেখানে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন স্পিনার তানভীর এবং পেসার রাজা। আর উইকেট রক্ষক নুরুল হাসান সোহানতো পরীক্ষিত এক সৈনিক। এখন দেখার বিষয় শেষ ম্যাচটা রাঙাতে পারে কিনা বাংলাদেশ। আরেকটি ইতিহাস রচিত হয় কিনা।