কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে শতাধিক পরিবার বসবাস করছেন। তবে চরম ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করলেও ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়েই আবার পাকা ভবন নির্মাণ করছেন কেউ কেউ। যেসব ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে পাকা ভবন নির্মিত হচ্ছে সেখানে পয়নিষ্কাশন সুবিধা নেই। পানির সুবিধা নেই। স্বাস্থ্য সুরক্ষার সুবিধাও নেই। পাহাড় ধস হলে অথবা আগুন লাগলে দ্রুত যে দমকল বাহিনীর গাড়ি গিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবে সেরকম সুবিধাও নেই। অর্থাৎ পর্যাপ্ত রাস্তাও নেই। এতসব সঙ্কটের মধ্যেও কেউ টিনের ঘর কেউবা পাকা ঘর নির্মাণ করে নিশ্চিন্তে বসবাস করছেন।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে কাপ্তাই উপজেলা সদর বরইছড়ি কর্ণফুলী কলেজ রোড, কলেজ রোড়ের উপরে কাপ্তাই চট্টগ্রাম সড়ক, বরইছড়ি বাজার, শীলছড়ি, চিৎমরম, লগগেইট এবং নতুন বাজার ঢাকাইয়া কলোনী জুড়ে শতশত পরিবার চরম ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। বেশি ঝুঁকি নিয়ে বিসবাস করছেন ঢাকাইয়া কলোনী এবং লগগেইট এলাকার বিপুল সংখ্যক পরিবার। ঢাকাইয়া কলোনীতে পাহাড় কেটে এবং পাহাড়ের ঢালে ঝুপড়ি ঘর তুলে এমন অনেক পরিবার বসবাস করছেন যাদের দেখলেই ভয়ে বুক কেঁপে উঠে। ঢাকাইয়া কলোনী এবং লগগেইটে কাপ্তাই সড়কের পাশে চরম ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন স্বীকার করে কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, আমরা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সদস্য। আমাদের অনেকেই ক্ষুদ্র আয়ের সাথে সম্পৃক্ত। ঢাকাইয়া কলোনীর একটি ঘরের সাথে আরেকটি ঘর লাগানো। একটি ঘর ভেঙ্গে পড়লে একসঙ্গে অনেক ঘর ভেঙ্গে পরার আশংকা রয়েছে। তার পরেও কোন উপায় না থাকায় এভাবে ঝুঁকি নিয়ে সবাই বসবাস করছেন বলে জানান তিনি।
বসবাসকারীরা বলেন, আসলে আমাদের যাবার আর কোন জায়গা নেই। যেভাবে বসবাস করছি তা জীবনের জন্য চরম ঝুঁকি জেনেও আমরা নিরুপায় হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক মেম্বার বলেন, কাপ্তাইয়ে মৌজা না থাকায় ছিন্নমূল মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া যাচ্ছেনা।
তবে এদের নিয়ে প্রশাসন সবসময় চিন্তিত থাকে বলেও তারা জানান। ভারী বৃষ্টি হলে এবং ঝড় তুফান ও দমকা হাওয়া লাগলেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয় এবং ঝুঁকিতে বসবাসকারিদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।