আমি কি এমন কিছু বলেছি যা কখনো বলিনি
আমি কি বলিনি, কী করে রাতের পর্দা ওঠে ভোরের দালানে
আলোর রূপালি পরশে উদ্যত হয় ক্ষীণ ঘাস
ঝুলবারান্দায় চড়ুইপাখির খুনসুটির চঞ্চল জীবন,
বন–বাদাড়ে পাখির উন্মাতাল উড়াউড়ি পৌষালী বায়ুতে
তুমি কি শুনোনি পাখির সংগীত ধানের চঞ্চুতে,
তুমিও দেখেছ সব, নাঙ্গা চোখে আমিও দেখেছি।
কিন্তু যাকে বলা যায় দেখা, তার কতটুকু দেখলাম, বুঝলাম,
ওখানে তো পুরোটাই ফাঁকা!
যদি আনা যেতো সম্পূর্ণ ভবিষ্যৎ টেনে বর্তমানে,
তবে, উল্টেপাল্টে দেখে নিতাম জীবন দেখাতাম তোমাকেও।
সব জীবনে একটা অসমাপ্ত গল্প থেকে যায়,
মৃত্যুহীন
যেমন বাড়ির পলেস্তরায় তোমার গল্প আছে
জোয়ার–ভাটার ভাঁজেও রক্ষিত থাকে নদীর আত্মকথন
শুকনো পত্রের মর্মর শব্দে মৃত্যুহীন ঝরা গান।
তবু একসময় দুর্বল হয় শিরা,
ডানা মুড়ে বসে থাকে পাখি
ভুলতে হয় আকাশ–ঠিকানা
পাতার সংগীতসুর মিশে যায় অনূঢ়া মাটিতে
ঢিলে হলে শরীরের ভাঁজ
মানুষও ঢুকে পড়ে সীমাহীন অন্ধকার ঘরে।